এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
বাংলাদেশ এসোশিয়েশন অফ ক্লিনিক্যাল বায়োকেমিষ্ট (বিএসিবি) -এর নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটির উদ্যোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের কামাল উদ্দিন গ্যালারিতে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
শুক্রবার (১০ জানুয়ারি ) সভার মূল বিষয় ছিল সাবেক ফ্যাসিস্ট রেজিমের শাসনামলে প্রণীত ‘খসড়া স্বাস্থ্যসেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ ২০২৪ এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে সংযোজিত বৈষম্য সৃষ্টিকারী অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য, ও বিভ্রান্তিমূলক ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারার অপসারণ/পরিমার্জন/সংশোধন”।
ড. মেসবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিষ্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ম্যারিটাইম ইউনিভার্সিটির আ্যডভাইজার অধ্যাপক ড. ইয়ারুল কবির।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি (অ্যাডমিন) ও বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি) -এর নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য ড. সোহেল আহমেদ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণ রসায়ন ও প্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ডঃ শামীম আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহমুদ হোসেন। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসিবি এর আহ্বায়ক মো: মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মো: শফিকুর রহমান ও অধ্যাপক ফাতেমা খান মজলিশ। সভায় সারাদেশের ডায়াগনস্টিক সেক্টরে কর্মরত কয়েকশ বায়োকেমিষ্ট উপস্থিত ছিলেন।

আলোচনা সভায় বক্তারা চিকিৎসা ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য সেবায় বায়োকেমিষ্টদের অবদান তুলে ধরেন। প্রস্তাবিত খসড়া স্বাস্থ্য সুরক্ষা নীতিতে ৯ নং ধারার ৪ নং উপধারায় বলা হয়েছে যে, যেকোন ল্যাবরেটরির রিপোর্ট বিএমডিসির রেজিষ্টার্ড চিকিৎসক ছাড়া অন্য কেউ স্বাক্ষর করতে পারবেন না। অর্থাৎ বায়োকেমিষ্টরা যে এতদিন ধরে ল্যাবরেটরি টেস্টের মান উন্নয়নে ভূমিকা রেখে রিপোর্ট সাক্ষর করে আসছেন তা আর করতে পারবেন না।

এ বিষয়ে সভায় উপস্থিত সকলে তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং এব্যাপারে পরবর্তী করণীয় পদক্ষেপ সমন্ধে আলোচনা করেন। এখানে উল্লেখ্য যে বিএসিবি আহ্বায়ক কমিটি ইতিমধ্যে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, স্বাস্থ্য সচিব ( শিক্ষা ও সেবা) এবং স্বাস্থ্য সংস্কার কমিশনের নিকট স্মারকলিপি পেশ করেছেন।
সভায় উপস্থিত সকলে এব্যাপারে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার ব্যাপারে একমত হন। শীঘ্রই বিষয়টি সকলের সামনে তুলে ধরার জন্য মিডিয়ার কাছে উপস্থাপন করা হবে।