খরচ কমাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ঝুঁকছেন পশুখাদ্যের পোকা চাষীরা

খরচ কমাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ঝুঁকছেন পশুখাদ্যের পোকা চাষীরা

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

থাইল্যান্ডে চিংড়ি এবং শূকর খামারের জন্য পশুখাদ্য তৈরি করতে পোকামাকড় পালন করে থাকে অনেক প্রতিষ্ঠান। তবে এই প্রক্রিয়াটি কিছুটা ব্যয়বহুল। খরচ কমাতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার দিকে ঝুঁকছেন এসব প্রতিষ্ঠানের পোকা চাষীরা।

বিবিসি জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের উপকণ্ঠে ফুল সার্কেল বায়োটেকনোলজি নামের একটি প্রতিষ্ঠান কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এর সাহায্যে ইনডোরেই পোকামাকড় চাষ করে পশুখাদ্য তৈরি করছে। দেখা গেছে, তাদের তৈরি পশুখাদ্যে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত প্রোটিন থাকে, যা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অনেক বেশি।

পশুখাদ্যের দাম কমানোর জন্য ফুল সার্কেল একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সিস্টেমকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যাতে সিস্টেমটি কীটপতঙ্গ চাষের অতীত এবং বর্তমান ডেটা অধ্যয়ন করে যাতে সর্বোত্তম ফলাফল দিতে পারে। এতে তাপমাত্রা থেকে শুরু করে খাদ্যের পরিমাণ, লার্ভার জন্য প্রয়োজনীয় সর্বোত্তম স্থান, দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে পোকার সংখ্যা গণনা করা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত।

তাই থাইল্যান্ডে চিংড়ি এবং শূকর খামারের জন্য পশুখাদ্য তৈরি করতে যেই প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে তারাও এআই ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। তাদেরসহ অন্যান্য চাষিদের জন্য ফুল সার্কেল বায়োটেকনোলজির এই ব্যবস্থা অনুকরণীয় হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

Scroll to Top