এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহের পরিকল্পনা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। পুতিন স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যদি এই দীর্ঘপাল্লার অস্ত্র ইউক্রেনকে সরবরাহ করে, তবে মস্কো-ওয়াশিংটন সম্পর্ক গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আজ ১৭ অক্টোবর শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বিবিসি জানিয়েছে, দুই নেতার মধ্যে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দীর্ঘ এক ফোনালাপে এই সতর্কবার্তা দেন পুতিন। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ, শান্তি উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দিকনির্দেশনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। ফোনালাপের পর নিজের সামাজিক মাধ্যম ট্রুথ সোশ্যাল-এ এক পোস্টে ট্রাম্প জানান, তিনি ও পুতিন বুদাপেস্টে সাক্ষাৎ করে যুদ্ধের অবসান নিয়ে আলোচনা করবেন। এর আগে দুই দেশের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি দল আগামী সপ্তাহে প্রাথমিক বৈঠকে বসবে।
রুশ প্রেসিডেন্টের সহকারী ইউরি উশাকভ বৃহস্পতিবার মস্কোয় এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, পুতিন তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তবতা বদলাতে পারবে না। বরং এটি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এবং ইউক্রেনে শান্তিপূর্ণ সমাধানের সম্ভাবনাকে আরও ক্ষতিগ্রস্ত করবে। ফোনালাপটি ছিল খুবই ফলপ্রসূ, খোলামেলা ও গোপনীয়। আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধ ছিল মুখ্য বিষয়, যেখানে পুতিন ট্রাম্পকে যুদ্ধের বর্তমান পরিস্থিতির একটি পূর্ণাঙ্গ মূল্যায়ন উপস্থাপন করেন।
রুশ পক্ষ জানিয়েছে, মস্কো বর্তমানে পুরো ফ্রন্টলাইনে কৌশলগত নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে। অপরদিকে ট্রাম্প ফোনালাপে যুদ্ধ দ্রুত শেষ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। আমেরিকার প্রেসিডেন্টের অন্যতম মূল বার্তা ছিল— ইউক্রেন সংঘাতের অবসান ঘটলে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার বিশাল সম্ভাবনা সৃষ্টি হবে।
এই আলোচনায় দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যে সরাসরি সাক্ষাতের সম্ভাবনাও উঠে আসে। উভয় পক্ষ সম্মত হয়েছে, ট্রাম্প ও পুতিনের পরবর্তী বৈঠকের প্রস্তুতি দ্রুত শুরু করা হবে। সম্ভাব্য বৈঠকের স্থান হিসেবে হাঙ্গেরির রাজধানী বুদাপেস্টের নাম প্রস্তাবিত হয়েছে।