চার মাসের বেশি সময় ধরে চলছে হামাস-ইসরাইল যুদ্ধ। এই সময়টাতে সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধ দেখেছেন উত্তর গাজার বাসিন্দারা। মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে অঞ্চলটি। দেখা দিয়েছে প্রবল খাদ্য সংকট। এমন অবস্থায় গৃহপালিত পশুদের খাবার খেয়েই বেঁচে আছেন সেখানকার বাসিন্দারা।
বিবিসি জানিয়েছে, হামাসকে নিশ্চিহ্ন করতে উত্তর গাজায় ব্যাপক হামলা চালানোর পর বর্তমানে খাবার ও পানির প্রবল সংকট দেখা দিয়েছে অঞ্চলটিতে। এর ফলে গৃহপালিত পশুদের জন্য বাঁচিয়ে রাখা শস্যদানাটুকুই তাদের শেষ ভরসা। পশুদের খাবার খেয়েই বেঁচে আছেন লাখ লাখ মানুষ। আশঙ্কা রয়েছে, এভাবে চলতে থাকলে বোমা বা গুলি নয় বরং না খেতে পেরে অসহায় অবস্থায় প্রাণ হারাবেন উত্তর গাজার বাসিন্দারা।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, গাজার উত্তরে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলোর ত্রাণের ট্রাক ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। বাচ্চারা খালি পেটে দিন কাটাচ্ছে। মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে শিশুরা। জাতিসংঘের মানবিক সমন্বয় সংস্থা ‘ওচা’ বলছে, খাদ্য অভাবের কারণে সেখানকার অন্তত ৩ লাখ মানুষ মৃত্যুর দোরগোড়ায়।
মেহমুদ শালাবি নামে এক স্বেচ্ছাসেবী জানিয়েছেন, গৃহপালিত পশুদের খাবার খেয়ে দিন কাটাচ্ছেন অনেকে। তিনি বলেন, এখন পশুদের জন্য থাকা শস্যদানা-বিচুলিও পাওয়া যাচ্ছে না বাজারে। এমনকি টিনজাত খাবারের মজুদ উধাও হয়ে যাচ্ছে। চার সন্তানের মা দুহা আল-খালিদি বলেন, তিনি খাবারের জন্য হেঁটে ছয় মাইল দূরে তার বোনের বাড়িতে গিয়েছিলেন। কারণ তার বাচ্চারা তিনদিন ধরে না খেয়েছিল।
ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডাব্লিউএফপি) এর আঞ্চলিক প্রধান ম্যাট হলিংওয়ার্থ বলেছেন, যদি আমরা নিয়মিতভাবে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে খাদ্য সহায়তা দিতে না পারি তাহলে দুর্ভিক্ষের একটি গুরুতর ঝুঁকিতে পড়বে গোটা গাজা।