ক্রুসের ফেরার রাতে ফ্রান্সকে হারাল জার্মানি

ক্রুসের ফেরার রাতে ফ্রান্সকে হারাল জার্মানি

স্পোর্টস ডেস্ক

যেখান থেকে জাতীয় দল ছেড়েছিলেন ঠিক সেখান থেকেই আবার শুরু করলেন টনি ক্রুস। তিন বছর আগে জাতীয় দল থেকে অবসর গ্রহণ করেছিলেন জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুস। দলের প্রয়োজনে আবারও ফিরলেন জার্মান জাতীয় দলের জার্সি গায়ে চড়িয়ে। দ্বিতীয়বারের মতো জাতীয় দলে অভিষেক রাঙালেন ম্যাচ শুরুর মাত্র ৭ সেকেন্ডের ভেতর অ্যাসিস্ট করে। ফ্লোরিয়ান রিটজের ৭ সেকেন্ডে করা ওই গোলের সঙ্গে দ্বিতীয়ার্ধে কাই হাভার্টজের গোলে ফ্রান্সকে তাদের মাঠেই ২-০ গোলের ব্যবধানে হারাল জার্মানি।

ফ্রান্সকে হারিয়ে টানা তিন ম্যাচ জয়হীন থাকার পর প্রথম জয়ের দেখা পেল জার্মানি। গত বছরের শেষ দুটি ম্যাচে তারা হেরেছিল তুরস্ক ও অস্ট্রিয়ার বিপক্ষে, তার আগে ড্র করেছিল মেক্সিকোর সঙ্গে। গত বিশ্বকাপ ফাইনালের পর ফ্রান্সের দ্বিতীয় পরাজয় এটি, দুটিই জার্মানির বিপক্ষে; গত সেপ্টেম্বরে প্রতিপক্ষের মাঠে প্রীতি ম্যাচে ২-১ গোলে হেরেছিল দিদিয়ে দেশমের দল।

সবশেষ ১০ ম্যাচের মধ্যে মাত্র দুটি জিতে এদিন খেলতে নামে জার্মানি পুরো ম্যাচে ৫৭ শতাংশ সময় বল দখলে রেখে গোলের জন্য শট নেয় ১৫টি, যার ৬টি লক্ষ্যে ছিল। ফ্রান্সের ১১ শটের মাত্র ২টি ছিল লক্ষ্যে।

ম্যাচের বয়স তখন ৭ সেকেন্ড, আন্তর্জাতিক ফুটবলে যৌথভাবে দ্বিতীয় দ্রুততম গোল এটি। এই ম্যাচ শুরুর ঘন্টা তিনেক আগে স্লোভাকিয়ার বিপক্ষে দ্রুততম ৬ সেকেন্ডে গোলের বিশ্ব রেকর্ড গড়েন অস্ট্রিয়ার মিডফিল্ডার ক্রিস্টফ বমগার্টনার। বায়ার লেভারকুজেনের অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ভিরৎজের জাতীয় দলের হয়ে ১৫ ম্যাচে প্রথম গোল এটি।

পঞ্চম মিনিটে আরেকটি সুযোগ তৈরি করে জার্মানি। দুরূহ কোণ থেকে জামাল মুসিয়ালার শট ঠেকান ফ্রান্সের গোলরক্ষক ব্রাইস সাম্বা। ২২তম মিনিটে সুযোগ হারান কিলিয়ান এমবাপে। উসমান দেম্বেলের পাসে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি তিনি। তিন মিনিট পর তার ডান পায়ের শট ঠেকান মার্ক আন্দ্রে টার স্টেগেন। ৩৫তম মিনিটে দেম্বেলের শটও ঠেকান বার্সেলোনার এই গোলরক্ষক।

দ্বিতীয়ার্ধের চতুর্থ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে জার্মানি। সতীর্থের ক্রস বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গোলরক্ষককে কাটিয়ে বাঁ দিকের বাইলাইন থেকে কাটব্যাক করেন মুসিয়ালা, ফাঁকা জালে বল পাঠান হাভার্টজ। ৫৫তম মিনিটে বক্সের বাইরে দেম্বেলের শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। খানিক পর অরেলিয়ে চুয়ামেনির শটও লক্ষ্যে থাকেনি।

শেষ দিকে ফ্রান্সের ওপর চাপ বাড়ায় জার্মানি। আরও অন্তত দুটি গোল পেতে পারত তারা, তবে অভিষিক্ত মাক্সিমিলিয়ানো ও ডেনিজ উন্দাভের শট দারুণভাবে ফিরিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি সাম্বা।

সারাবাংলা/এসএস

Scroll to Top