২. কঠিন সময়ের আসমানি ব্যাখ্যা: আমার দুঃখ–কষ্ট শত বছর আগে কোরআনে আলোচিত হয়েছে। ‘আল্লাহ কোনো ব্যক্তির ওপর তার সাধ্যের বাইরে বোঝা চাপান না।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ২৮৬)
৩. আল্লাহর ওপর ভরসা: আল্লাহর ওপর ভরসা রাখলে তিনি অপ্রত্যাশিত উৎস থেকে সাহায্য পাঠান। ‘যে আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে, আল্লাহ তার জন্য পথ বের করবেন এবং তাকে এমন উৎস থেকে রিজিক দেবেন, যা সে কল্পনাও করেনি।’ (সুরা তালাক, আয়াত: ২–৩) ‘আমি আমার বিষয় আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহ তার বান্দাদের সম্পর্কে সব জানেন।’ (সুরা গাফির, আয়াত: ৪৪)
৪. পছন্দের স্বাধীনতা: আল্লাহ আমাদের পছন্দ করার স্বাধীনতা দিয়েছেন এবং দেখেন, আমরা কীভাবে তা ব্যবহার করি। ‘মানুষ কি মনে করে, তারা বলবে “আমরা বিশ্বাস করেছি” এবং তাদের পরীক্ষা করা হবে না?’ (সুরা আনকাবুত, আয়াত: ২)
৫. কষ্টকে শক্তির পথ হিসেবে দেখা: কষ্ট মানে পিছিয়ে পড়া নয়; বরং শক্তির দিকে একটি পদক্ষেপও হতে পারে। ‘তিনি মহিমান্বিত, যিনি সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতে রাখেন; যিনি মৃত্যু ও জীবন সৃষ্টি করেছেন তোমাদের পরীক্ষা করার জন্য, কে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।’ (সুরা মুলক, আয়াত: ১–২)
কোরআন জার্নালিং হলো আল্লাহর কথার সঙ্গে গভীর সম্পর্ক গড়ার একটি সুন্দর উপায়। এটি আমাদের ধৈর্য, কৃতজ্ঞতা ও আশাবাদ শেখায় এবং কঠিন সময়ে শক্তি দেয়। এখনই এই যাত্রা শুরু করে আপনি আল্লাহর সঙ্গে আপনার সম্পর্ককে আরও গভীর করতে পারেন। আল্লাহ আমাদের কোরআনের আলোয় জীবনযাপনের তৌফিক দিন। আমিন।
সূত্র: মুসলিম ম্যাটার্স