২০১৪ সালে ডিস্টোপিয়ান উপন্যাস নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আর ২০১৬ সালে সাহিত্যের দুনিয়ায় আলোচনায় আসে অডিও বুক। সাহিত্যের এ দুটি উপকরণই এখন পাঠকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়।
এরপর ২০২০ সালে করোনা মহামারির সময়ে সাহিত্যের দুনিয়ায় বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছে ‘বুকটক’। জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম টিকটকে বইকেন্দ্রিক আলোচনাকে বলা হয় বুকটক। যাঁরা এই নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাঁদের বলা হয় ‘বুকটকার’।
বুকটকের পর ২০২২ সালের শেষ থেকে আলোচনায় আসে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও চ্যাটজিপিটি, যা পুরো ২০২৩ জুড়েই ছিল আলোচনায়।
এখন স্বাভাবিকভাবেই বইপ্রেমীদের মহলে প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে সাহিত্যের প্রবণতা কী হতে পারে?
বিগত কয়েক বছরের প্রবণতা লক্ষ করলে একটা বিষয় পরিষ্কার বোঝা যায়, সাহিত্যের প্রবণতাগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে প্রযুক্তি। যেমন গত তিন-চার বছরে টিকটক, ফেসবুক, ইউটিউবে যে বইগুলো নিয়ে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হয়েছে, সেই বইগুলোই উঠে এসেছে বেস্টসেলার তালিকায়।
গত বছর থেকে তুমুল আলোচনায় রয়েছে চ্যাটজিপিটি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই)। বই লেখা ও অডিও বুক তৈরি করা থেকে শুরু করে বইয়ের প্রচার, বিপণন ও ব্যবসায়িক উন্নয়ন—সব ক্ষেত্রে এআই প্রায় অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে। এআই ও চ্যাটজিপিটির এ উত্থানে শঙ্কিত হয়ে রাস্তায় আন্দোলন পর্যন্ত করেছেন হলিউডের চিত্রনাট্যকারেরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, ২০২৪ সালে কি চ্যাটজিপিটি সাহিত্যের দুনিয়ায় আরও প্রভাববিস্তারী হয়ে উঠবে? আগের বছরের প্রবণতা থেকে অনুমান করা যায়, হ্যাঁ, প্রভাববিস্তারী হয়ে উঠতে পারে।
এবার একটু প্রযুক্তির বাইরে নজর দেওয়া যাক। আর কী কী বদল আসতে পারে সাহিত্যের দুনিয়ায়?