সম্প্রতি বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব স্বস্তিকা মুখার্জি ও কবির সুমন তাদের মতামত প্রকাশ করেছেন। এই আন্দোলন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের অংশগ্রহণে আরও তীব্র হয়ে উঠেছে। তারা দাবি করছেন, কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থাপন করতে হবে।
স্বস্তিকা মুখার্জি বলেছেন, “কোটা পদ্ধতি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বড় বাধা সৃষ্টি করছে এবং এটি বাতিল করা উচিত। বর্তমান কোটা পদ্ধতির কারণে অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী তাদের যোগ্যতা প্রমাণের সুযোগ পাচ্ছে না।” তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, “মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া হওয়া উচিত যাতে সত্যিকারের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পেতে পারে।”
সম্পর্কিত
কবির সুমন তার বক্তব্যে বলেন, “কোটা পদ্ধতি অনেক যোগ্য ব্যক্তিকে পিছিয়ে দিচ্ছে এবং এটি সময়ের দাবি যে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হোক। কোটা পদ্ধতির অপব্যবহার হচ্ছে এবং এটি দূর করতে হলে শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী, কিন্তু কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে যে বৈষম্য তৈরি হচ্ছে তা দূর করতে হবে।”
উচ্চ আদালতের রায়ের পর, যেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য কোটা পুনঃপ্রবর্তন করা হয়, এই আন্দোলন শুরু হয়। আন্দোলনের ফলে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা রাস্তায় নেমে আসেন এবং বিভিন্ন প্রতিবাদমূলক কর্মসূচি পালন করেন। আন্দোলনের কারণে ট্রেন এবং সড়ক পরিবহনও প্রভাবিত হয়েছে।
এই আন্দোলনের মূল দাবি হলো কোটা পদ্ধতি বাতিল করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থাপন করা। আন্দোলনকারীরা দাবি করছেন, কোটা পদ্ধতি বাতিল করলে মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পাবে এবং দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারবে।
আন্দোলনের ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছে, যেমন “কোটার বদলে মেধা,” “মেধাবীদের অধিকার ফিরিয়ে দাও,” ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে এবং সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করছে।
এই আন্দোলন ও এর প্রভাব সম্পর্কে সাধারণ মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। কেউ কেউ মনে করছেন, কোটা পদ্ধতি সামাজিক সাম্য ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন, আবার কেউ কেউ মনে করছেন, মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া হলে দেশ আরও দ্রুত উন্নতি করতে পারবে।