এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
লেবাননের রাজধানী বৈরুতে ইসরায়েলি হামলায় নিহত হন সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মহাসচিব হাসান নাসরাল্লাহ। এরপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়, কে হাসান নাসরাল্লাহর স্থলাভিষিক্ত হবেন। ধারণা করা হচ্ছে, হিজবুল্লাহর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত হাশেম সাফিউদ্দিন দলটির নতুন প্রধান হতে যাচ্ছেন।
আলজাজিরা জানিয়েছে, বর্তমানে সাফিউদ্দিন সংগঠনের কার্যনির্বাহী কাউন্সিলের প্রধান। একই সঙ্গে দেখেন সংগঠনের রাজনৈতিক দিকটিও। যুক্ত আছেন জিহাদ কাউন্সিলের সাথেও। সাফিউদ্দিন প্রয়াত নাসরুল্লাহর চাচাতো ভাই। নাসরুল্লাহর মতো তিনিও ধর্মীয় পণ্ডিত।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সাফিউদ্দিনকে সন্ত্রাসী তকমা দেয়। গত জুনে ইসরায়েলের হামলায় হিজবুল্লাহর এক কমান্ডার নিহত হওয়ার পর তিনি কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। ওই কমান্ডারের দাফন অনুষ্ঠানে তিনি বলেছিলেন, ‘(শত্রুদের) কান্না ও বিলাপের জন্য প্রস্তুত হও।’ সাফিউদ্দিনের বিবৃতিতে প্রায় সময় হিজবুল্লাহর সামরিক অবস্থানের প্রতিফলন থাকে। প্রায়শই তাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গেছে।
১৯৬৪ সালে টায়ারের কাছে দেইর কানুন এন-নাহরের দক্ষিণ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন সাফিউদ্দিন। তিনি ইরাকি শহর নাজাফ এবং ইরানি শহর কোমে শিয়া ধর্মীয় শিক্ষার দুটি প্রধান কেন্দ্রে নাসরুল্লাহর সাথে একসাথে ধর্মতত্ত্ব অধ্যয়ন করেন। সংগঠনের প্রথম দিকে দুজনেই হিজবুল্লাহতে যোগ দিয়েছিলেন। ইরানের সাথে সাফিউদ্দীনের নিজস্ব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। তার ছেলে রেধা ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত শীর্ষ ইরানি জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মেয়েকে বিয়ে করেছেন।