আমিরুলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, তিনি গতকাল ইফতার শেষ করে বাড়ি থেকে কেশবপুরে তাঁর ইজারা নেওয়া পুকুরে যাচ্ছিলেন। পথে তাঁর মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাঁকে জোর করে পাশের একটি কলাবাগানে নিয়ে যান প্রতিপক্ষের লোকজন। সেখানে পিটিয়ে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে তাঁকে হত্যা করা হয়। পুলিশ রাতেই অভিযান চালিয়ে যদুবয়রা ইউপির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানসহ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অন্তত ছয়জনকে আটক করেছে। তাঁদের ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। মিজানুর যদুবয়রা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, এলাকায় আমিরুলকে মাতব্বর হিসেবে মানতেন লোকজন। তিনি বেশ কিছু সালিস বৈঠকও করেছেন। এ নিয়ে তাঁর শত্রু তৈরি হয়ে গিয়েছিল। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় থেকে ওই এলাকায় নৌকার প্রার্থী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম আলতাফ জর্জ ও বর্তমান সংসদ সদস্য আবদুর রউফের পক্ষের মধ্যে বিরোধে চলছিল। আমিরুল এবার নৌকার পক্ষে নির্বাচন করেন। সে জেরেও এ ঘটনা ঘটত পারে।