বিটিভিতে পঁচিশে বৈশাখ, বাইশে শ্রাবণ, ছাব্বিশে মার্চ, ষোলোই ডিসেম্বর—এই সব বিশেষ দিবসের অনুষ্ঠান হলেই আমি সাদির সঙ্গে যোগাযোগ করতাম। নতুন নতুন গানের খোঁজ পেতাম তার কাছ থেকেই। পেতাম অনেক নতুন তথ্য। ‘প্রজন্ম একাত্তর’–এর সদস্যদের নিয়ে অনেক অনুষ্ঠান আমি করেছি সাদির পরামর্শে।
১৯৯৬ সালের পর পনেরোই আগস্টকে কেন্দ্র করে নির্মাণ করেছি বেশ কিছু অনুষ্ঠান। সেই সব অনুষ্ঠানে কত যে হৃদয়স্পর্শী গানের সৃষ্টি হয়েছে সাদির অক্লান্ত প্রচেষ্টায়। একটা গানের কথা বারবার মনে পড়ে—
‘সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল
ছিল না চাঁদ,
ভোরের আকাশে সূর্যের আলো ঢেকে
তোমার রক্ত মিশে গেল সমুদ্র সমতল।
স্বপ্ন সাধনা সোনার বাংলা কী যে ভালোবাসি
চেয়েছিলে তুমি দুখী মানুষের মুখে হাসি,
সারাটা জীবন দিয়ে মরণেরে করে গেলে জয়
স্বদেশের বুক জুড়ে আজও তাই কত যে অশ্রুজল।’
এই গান আমি নির্মাণ করলেও গানটির কৃতিত্ব দিতে চাই সাদি মহম্মদকে। পিতা হারানো একজন মেধাবী সংগীতশিল্পী তার প্রাণের সব আবেগ আর হৃদয় নিংড়ানো সুর দিয়ে সৃষ্টি করেছে এই গান। যে গানের মধ্য দিয়ে সাদি বেঁচে থাকবে আমাদের মাঝে।
সাদি মহম্মদ ও শিবলী মহম্মদ—তারা দুজনেই ছিল আমার ছোট ভাইয়ের আসনে। কী এমন অভিমান ছিল সাদি তোমার? তাই বলে কি এভাবে চলে যেতে হয়!