নয়াদিল্লি, ২২ মার্চ – মদ নীতি কেলেঙ্কারির অভিযোগে হওয়া আবগারি দুর্নীতি মামলায় ভারতের দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় তদন্ত সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। তিনি গ্রেফতার হওয়ায় তার ক্ষমতাসীন সরকার ও দল আম আদমি পার্টি বড় ধরনের নেতৃত্বের সংকটে পড়েছে। এমন সংকটকালে সরকার ও দল পরিচালনায় নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কেজরিওয়ালের স্থলাভিষিক্ত কে হবেন সে প্রশ্ন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।
আম আদমি পার্টি অবশ্য বলেছে, কারাগারে থেকেই দলীয় প্রধান ও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কাজ চালিয়ে যাবেন কেজরিওয়াল।
তবে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেজরিওয়ালের সম্ভাব্য বদলি হিসেবে তিনজনের নাম আলোচনায় আছেন। তারা হলেন তার স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল, মন্ত্রিসভার সদস্য অতীশী মারলেনা ও সৌরভ ভরদ্বাজ।
সুনিতা কেজরিওয়াল একজন সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা। এদিকে কেজরিওয়ালের মন্ত্রিসভার বেশ প্রভাবশালী সদস্য অতীশি। তিনি একাই বেশ কয়েকটি মন্ত্রণালয় সামলে আসছেন। এদের মধ্যে রয়েছে শিক্ষা, অর্থ, পিডব্লিউডি, রাজস্ব ও পরিষেবা। তাকে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ঘনিষ্ঠ সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
অতীশি আম আদমি পার্টির একজন মুখপাত্রও বটে। তিনি আম আদমি পার্টি সরকার ও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে কথা বলে আসছেন। এছাড়া সংবাদ সম্মেলন ও টকশোতে বিজেপিকে একহাত নিয়ে আসছেন।
অন্যদিকে সৌরভ ভরদ্বাজও দিল্লি মন্ত্রিসভার এক পরিচিত মুখ। তিনি স্বাস্থ্য ও নগর উন্নয়নসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় সামলে আসছেন তিনি। এ ছাড়া দলের একজন সুপরিচিত মুখও সৌরভ। তিনি দলের নেতাদের ঢাল হিসেবে কাজ করছেন। একই সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি ও ভারতীয় ক্ষমতাসীন সরকারের ওপর তোপ দাগিয়ে আসছেন।
মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হতে পারে বলে আগে থেকেই আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল আম আদমি পার্টি।
গত বছরের ডিসেম্বরে আম আদমি পার্টি ‘আমিও কেজরিওয়াল’ নামের একটি প্রচারাভিযান শুরু করে। এই প্রচারাভিযানে তারা লোকজনের কাছে জানতে চেয়েছিল, কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করা হলে তার কি মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করা উচিত, নাকি কারাগারে থেকে সরকার পরিচালনা করা উচিত।
প্রচারাভিযানকালে আম আদমি পার্টির প্রধান এ বিষয়ে মতামত জানার জন্য দলের বিধায়ক ও দিল্লি পৌর করপোরেশনের কাউন্সিলরদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন।
সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে সৌরভ ভরদ্বাজ বলেন, প্রচারাভিযানে অংশ নেয়া প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ এই মত দিয়েছেন যে দিল্লি সরকার পরিচালনার জন্য কেজরিওয়ালের জনরায় রয়েছে। তাই যেখান থেকেই হোক না কেন, তারই দিল্লির সরকার চালানো উচিত।
দিল্লি ও পাঞ্জাবের ক্ষমতায় আছে আম আদমি পার্টি। এ ছাড়া গুজরাট ও গোয়ায় দলটির বিধায়ক আছে। কেজরিওয়াল গ্রেফতার হওয়ায় আম আদমি পার্টিকে এখন দলীয় প্রধান হিসেবে বিকল্প কাউকে খুঁজতে হবে। তবে দলটির সামনে বিকল্প কম।
সূত্র: ডেইলি-বাংলাদেশ
আইএ/ ২২ মার্চ ২০২৪