এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
কাতারের রাজধানী দোহায় চিরনিন্দ্রায় শায়িত হলেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া। শহরের বড় মসজিদ ইমাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাবে জানাজা শেষে লুসাইল রয়্যাল কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) জুমার নামাজের পর হাজার হাজার মানুষের অংশগ্রহণে কাতারের সবচেয়ে বড় মসজিদ ইমাম মুহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব মসজিদে হানিয়া ও তার দেহরক্ষীর দ্বিতীয় জানাজা হয়। এরপর তাদের দাফন করা হয়।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, হানিয়ার জানাজায় উপস্থিত ছিলেন হামাসের উচ্চপদস্থ নেতারা। যার মধ্যে ছিলেন খালিদ মিশালও। তিনি হানিয়ার স্থলাভিষিক্ত হবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
ইরানের বিপ্লবী গার্ডের প্রধান হোসেইন সালামি বলেন, ‘ইসরায়েল আমাদের জাতি শত্রু’। এখন হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসেরুল্লাহ’র উচিত ইসমাইল হানিয়া ও লেবাননের আন্দোলনের কমান্ডার ফুয়াদ শুকর মৃত্যুর প্রতিশোধ নেয়া।
এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিশোধ নিতে আলোচনায় বসার কথাও জানিয়েছেন ইরান, তাদের মিত্ররা। এ বিষয়ে আলোচনা করতে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তারা লেবানন, ইরাক ও ইয়েমেনের মিত্রদের সাথে বৈঠক করবেন তারা।
এর আগে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে তেহরানে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়ার বাসভবনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা হলে তিনি নিহত হন। এই হামলায় তার একজন দেহরক্ষীও প্রাণ হারিয়েছেন। বুধবার (৩১ জুলাই) সকালে ইরানি ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ও হামাসের তরফ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এই হামলার জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে কঠোর জবাব দেয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান ও হামাস।