ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে শুরু হওয়া ভারী বৃষ্টির ফলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকালে এই জলাবদ্ধতায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।
কলকাতার বেনিয়াপুকুর ও খিদিরপুর এলাকা থেকে দুইটি মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে, অন্য একটি দুর্ঘটনা ঘটেছে নেতাজিনগরে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বৃষ্টির পানিতে ডুবে যাওয়া বৈদ্যুতিক তারগুলোই এই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
কলকাতা পৌর সংস্থা (কেএমসি) জানিয়েছে, শহরের দক্ষিণ ও পূর্বাঞ্চলে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। গড়িয়া কামদাহারিতে মাত্র কয়েক ঘণ্টায় ৩৩২ মিমি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া যোধপুর পার্কে ২৮৫ মিমি, কালীঘাটে ২৮০ মিমি, টপসিয়ায় ২৭৫ মিমি, বালিগঞ্জে ২৬৪ মিমি এবং উত্তর কলকাতার থানতানিয়ায় ১৯৫ মিমি বৃষ্টি হয়েছে।
ফলে বহু বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়েছে এবং রাস্তাঘাট পানির নিচে চলে গেছে, যা জনজীবনকে মারাত্মকভাবে ব্যাহত করছে।
জলাবদ্ধতার কারণে শহরের বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। বিমান সংস্থাগুলো ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের (আইএমডি) সতর্কবার্তা অনুসরণ করে যাত্রীদের জন্য বিশেষ ভ্রমণ পরামর্শ জারি করেছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি নিম্নচাপ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে যাচ্ছে, যার ফলে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে হালকা থেকে মাঝারি এবং কিছু স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
পুর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ঝাড়গ্রাম এবং বাঁকুড়ায় বুধবার পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
আইএমডি আরও সতর্ক করেছে, ২৫ সেপ্টেম্বরের আশেপাশে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে আরেকটি নতুন নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যা আবারও ভারী বৃষ্টির কারণ হতে পারে।




