কর্মীদের বার্তা কেন মুছে ফেলছে গুগল?

কর্মীদের বার্তা কেন মুছে ফেলছে গুগল?

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

ইয়াহুর সঙ্গে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত একটি চুক্তি নিয়ে অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা এড়াতে বিশ্বের তথ্য সংরক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান গুগল কৌশলগতভাবে নিজস্ব অভ্যন্তরীণ যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য কর্মীদের দীর্ঘদিনের বার্তা মুছে ফেলছে।

আজ (২১ নভেম্বর) বৃহস্পতিবার একটি প্রতিবেদনে এনডিটিভি জানিয়েছে, ২০০৮ সাল থেকে গুগল এমন কাজ করে আসছে বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে। ২০০৮ সালে ইয়াহুর সঙ্গে বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত একটি চুক্তি নিয়ে অ্যান্টিট্রাস্ট তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার সময় গুগল তাদের কর্মীদের এই সংক্রান্ত একটি গোপনীয় বিবৃতি পাঠায়।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুসারে, কর্মীরা যেন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে লেখার আগে সতর্ক থাকে এবং জল্পনা বা বিদ্রূপ এড়িয়ে চলে এবং সব তথ্য না জানা পর্যন্ত কোনো মন্তব্য না করে সেই পরামর্শ দেওয়া হয় ওই বিবৃতিতে। গুগল তখন তাদের ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং টুলের সেটিং পরিবর্তন করে ‘অফ দ্য রেকর্ড’ করে দেয়। এর ফলে চ্যাটে করা মন্তব্যগুলো পরের দিন মুছে যেত।

এতে গুগলের বিরুদ্ধে উঠেছে আইনি দায়িত্ব লঙ্ঘনের অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, মামলার ক্ষেত্রে ডকুমেন্ট সংরক্ষণ বাধ্যতামূলক কিন্তু গুগল ইনস্ট্যান্ট মেসেজিংকে স্বয়ংক্রিয় সংরক্ষণ প্রক্রিয়ার আওতায় রাখেনি। কোনো কর্মী মামলায় জড়িত থাকলে তার দায়িত্ব ছিল চ্যাট ইতিহাস চালু রাখা। আদালতে প্রমাণ মিলেছে গুগলের অনেক কর্মী তা করেননি।

GOVT

এই বিষয়ে গুগলের শীর্ষ আইনজীবী কেন্ট ওয়াকার বলেন, গুগলের কর্মীরা গড়ে অন্যান্য কোম্পানির তুলনায় ১৩ গুণ বেশি ইমেইল তৈরি করেন। ফলে অতিরিক্ত চাপের মুখে পড়ে গুগল বার্তা সংরক্ষণের কৌশল পরিবর্তন করেছিল। তিনি দাবি করেন, গুগলে কোনো গোপনীয়তার সংস্কৃতি নেই।

তবে ২০২৩ সালে গুগল তাদের নীতি পরিবর্তন করে চ্যাটসহ সবকিছু সংরক্ষণ করার জন্য ডিফল্ট নীতি চালু করে। কোনো কর্মী যদি মামলায় জড়িত থাকে, তবে তিনি তার চ্যাট ইতিহাস বন্ধ করতে পারবেন না। এই ঘটনাগুলো গুগলের দীর্ঘদিনের অভ্যন্তরীণ কৌশল। তবে অ্যান্টিট্রাস্ট মামলায় তাদের প্রতিরক্ষা কৌশল নতুন প্রশ্নের উদ্রেক করেছে।

Chokroanimation

Scroll to Top