কর্মবিরতি ঘোষণা করে শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন চিকিৎসকরা | চ্যানেল আই অনলাইন

কর্মবিরতি ঘোষণা করে শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন চিকিৎসকরা | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের পাঁচ দফা দাবির সমর্থনে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা সারাদেশের হাসপাতালগুলোতে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তবে জরুরি বিভাগ, সিসিইউ এবং আইসিইউ এই কর্মবিরতির আওতামুক্ত রাখা হয়েছে।

আজ ১ মার্চ শনিবার ১১টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকরা অবস্থান নিয়েছেন। পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ডক্টরস মুভমেন্ট ফর জাস্টিস’ শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেয়। সারাদেশে প্রায় ১০ হাজার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ট্রেইনি চিকিৎসক রয়েছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যখাতের মুক্তির জন্য পাঁচ দফা দাবি আদায়ে মেডিকেল শিক্ষার্থী ও ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি চললেও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এ কারণে সংগঠনটি সকল সরকারি ও বেসরকারি চিকিৎসকদের (বিএমডিসি রেজিস্ট্রেশনপ্রাপ্ত) এই কর্মবিরতিতে একাত্মতা প্রকাশ করে পাঁচ দফা দাবির যৌক্তিক সমাধান না হওয়া পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি পালনের আহ্বান জানিয়েছে।

মেডিকেল শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে-

১) এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া কেউ ‘ডাক্তার’ লিখতে পারবে না। বিএমডিসির নিবন্ধন শুধুমাত্র এমবিবিএস/বিডিএস উত্তীর্ণদের দেওয়া হবে এবং ম্যাটস শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন বন্ধ করতে হবে। এছাড়া, বিএমডিসির আইনের বিরুদ্ধে দায়ের করা রিট মামলা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রত্যাহার করতে হবে।

২) চিকিৎসা ব্যবস্থার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ ওটিসি (ওভার দ্য কাউন্টার) তালিকা হালনাগাদ করতে হবে। এমবিবিএস/বিডিএস ছাড়া অন্য কেউ ওটিসি তালিকার বাইরে ওষুধ লিখতে পারবে না।

৩) স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসক সংকট নিরসনে দ্রুত ১০ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দিয়ে শূন্য পদ পূরণ করতে হবে এবং চিকিৎসকদের বিসিএসে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৪ বছর করতে হবে।

৪) সব ধরনের মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) এবং মানহীন সরকারি ও বেসরকারি কলেজ বন্ধ করতে হবে। ইতিমধ্যে পাস করা ম্যাটস শিক্ষার্থীদের উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার পদবি বাতিল করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে নিয়োগের ব্যবস্থা করতে হবে।

৫) চিকিৎসক সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে।

এর আগে, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্টস ট্রেনিং স্কুল (ম্যাটস) শিক্ষার্থীরা দশম গ্রেডে শূন্য পদে নিয়োগ, সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে নতুন পদ তৈরিসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন। সরকারের আশ্বাসের পর তাদের বিক্ষোভ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত রয়েছে।

তবে মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি আদায়ে নানা কর্মসূচি পালন করছেন। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে ক্লাস বর্জন করছেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল শিক্ষার্থীরা পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেন এবং ইন্টার্ন চিকিৎসকরাও তাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করেন।

Scroll to Top