বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টনি হেমিংকে হেড কিউরেটর হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকেই বিষয়টি আলোচনার কেন্দ্রে। বছরের পর বছর ধরে জাতীয় দলের হেড কিউরেটর হিসেবে দায়িত্বে থাকা গামিনি ডি সিলভার জায়গায় অন্য একজন চলে আসাতেই হচ্ছে বাড়তি আলোচনা।
বাংলাদেশ ক্রিকেটে পিচ নিয়ে সমালোচনা বহু পুরনো। দেশে সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট হয় যেখানে সেই মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পিচ নিয়েই সমালোচনাটা সবচেয়ে বেশি। মিরপুরের পিচ আধুনিক ক্রিকেটের সঙ্গে একদমই যায় না, এমন কথা বলতে শোনা যায় দেশি-বিদেশি অনেক ক্রিকেটারকে।
হেড কিউরেটর হিসেবে তার দায় বারবার গেছে গামিনি ডি সিলভার কাঁধে। কিন্তু কখনোই সমাধান খুঁজে দিতে পারেননি শ্রীলংকান এই কিউরেটর। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। ফলে তার জায়গায় নতুন একজন এলে স্বাভাবিকভাবেই আলোচনা উঠছে।
এর আগেও কিউরেটর হিসেবে বিসিবির হয়ে কাজ করেছেন টনি হেমিং। কিন্তু রাগ-অভিমানে গেল বছর চাকরি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান। তখন খবর বেরিয়েছিল, মূলত গামিনি ডি সিলভার সঙ্গে মতমালিন্য করেই চাকরি ছেড়েছিলেন তিনি।
তারপর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) নিয়োগ পেয়েছিলেন হেড কিউরেটর হিসেবে। সেখান থেকে আবার ফিরলেন বাংলাদেশে। শোনা যাচ্ছে, মোটা অঙ্কের বেতনে বিসিবি’তে নিয়োগ পেয়েছেন টনি হেমিং।
বিসিবির একটা সূত্রে জানা গেছে, এই অস্ট্রেলিয়ান কিউরেটরের মাসিক বেতন ৮ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় দশ লাখ টাকা। বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো কিউরেটরের সর্বোচ্চ বেতনের রেকর্ড এটা। টনি হেমিং বাৎসরিক বেতন হিসেবে পাবেন ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। সঙ্গে অন্যান্য ভাতাও আছে।
এই যাত্রায় দুই বছরের জন্য বিসিবির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন টনি হেমিং।