বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিল ইতিহাস গড়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়ের। তবে মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে কিউইদের বাগে পেয়েও সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেছেন শান্তরা। অল্প লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটের দারুণ এক জয়ে সিরিজে সমতা এনেই বাড়ি ফিরছে নিউজিল্যান্ড। কিউইদের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন অলরাউন্ডার গ্লেন ফিলিপস। ব্যাটে-বলে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে হয়েছেন ম্যাচসেরাও। ম্যাচ শেষে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক টিম সাউদি বলছেন, কঠিন পিচে দারুণ ইনিংস খেলাকে অভ্যাসে পরিণত করেছেন ফিলিপস। দেশের বাইরে এমন ম্যাচ জয়ে দলের উপরও সন্তুষ্ট সাউদি।
মিরপুরের পিচে অন্য ব্যাটাররা যেখানে উইকেটে থিতুই হতে পারছিলেন না, সেখানে প্রথম ইনিংসে স্রোতের বিপরীতে মারকুটে ব্যাটিং করে চমকে দিয়েছেন ফিলিপস। ৯ চার ও ৪ ছক্কায় সাজানো ইনিংসে ফিলিসের ৭২ বলে ৮৭ রানের ইনিংসের সুবাদেই লিড পায় কিউইরা। দ্বিতীয় ইনিংসে রান তাড়া করার সময়ও বিপদের মুখে দলের হাল ধরেন ফিলিপস। তার হার না মানা ৪০ রানেই জয়ের বন্দরে পৌছায় নিউজিল্যান্ড। বল হাতেও প্রথম ইনিংসে ফিলিপস নিয়েছিলেন ৩টি মূল্যবান উইকেট।
ব্যাটে বলে দারুণ পারফর্মের কারনে ফিলিপসই হয়েছেন ম্যাচসেরা। সংবাদ সম্মেলনে সাউদি বলছেন, মিরপুরের কঠিন উইকেটে ফিলিপসের ব্যাটিং তাকে মুগ্ধ করেছে, ‘সে খুব বেশি টেস্ট খেলেনি। কিন্তু এই কঠিন পিচে সে যেভাবে ব্যাটিং করেছে সেটা দুর্দান্ত। আসলে কঠিন পিচেই সে তার বিশেষ ব্যাটিং দেখায়! কঠিন অবস্থার মাঝেও সে এই প্রথম ইনিংসে যেভাবে ইতিবাচক ব্যাটিং করেছে সেটা আসলেই প্রশংসার যোগ্য। শুধু ব্যাটিং নয়, বল হাতেও তার উইকেটগুলো দলকে অনেক সাহায্য করেছে। প্রথম ইনিংসে তার ইনিংসে লিড পাওয়াই ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে।’
মিরপুরের পিচে প্রথম দিনের শুরু থেকেই স্পিন ধরেছে। প্রতি সেশনেই পড়েছে অনেক উইকেট। চার দিনে মাত্র ১৭৮.১ ওভারেই ফলাফল এসেছে, যা বাংলাদেশের মাটিতে রেকর্ড। পিচ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে সাউদি বলছেন, ব্যাটে বলে আরও লড়াই হলে তিনি খুশি হতেন, ‘আসলে পিচ তো কঠিন ছিলই। উপমহাদেশে এলে এমন পিচেই খেলার মনোভাব থাকতে হবে। তবে ব্যাট বলে লড়াইটা আরও বেশি হলে ভালো হতো। তবে প্রথম ম্যাচ হারের পর ঘুরে দাড়াতে পেরেই আমরা খুশি।’
স্বাগতিক দল পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা পাবে, এতে কোনও দোষ দেখছেন না সাউদি, ‘স্বাগতিক দল সবসময়ই পিচ থেকে বাড়তি সুবিধা পায়। তবে ব্যাট বলের লড়াইয়ের যে তফাৎ সেটা যত কম হবে তত ভালো। বাংলাদেশ টেস্টে উন্নতি করছে। তারা ঠিক পথেই আছে। তবে অস্ট্রেলিয়া, ভারত, নিউজিল্যান্ডের মাঠে গিয়ে জেতা তাদের জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জ।’
বাংলাদেশ এবং নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার সবকটি ম্যাচ সরাসরি সম্প্রচার করছে দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় স্যাটেলাইট টেলিভিশন জিটিভি। অনলাইন প্ল্যাটফর্ম র্যাবিটহোলবিডি‘তেও দেখা যাবে এই সিরিজ।
সারাবাংলা/এফএম