কক্সবাজার হঠাৎ কলেরার প্রাদুর্ভাব, দেয়া হবে ২২ লাখ ভ্যাকসিন | চ্যানেল আই অনলাইন

কক্সবাজার হঠাৎ কলেরার প্রাদুর্ভাব, দেয়া হবে ২২ লাখ ভ্যাকসিন | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

কক্সবাজারে হঠাৎ কলেরা রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় মিয়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী, বান্দরবানের এক ইউনিয়ন ও কক্সবাজারের ৫ ইউনিয়নে কলেরা ভ্যাকসিন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এতে ২২ লাখের বেশি ভ্যাকসিন দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুরে কক্সবাজার শহরের ইপিআই সেন্টারের সম্মেলন কক্ষে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কক্সবাজারের ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডাক্তার টিটু চন্দ্র শীল এসব তথ্য জানান।

টিটু চন্দ্র শীল বলেন, ১২ থেকে ২১ জানুয়ারি পর্যন্ত দেয়া হবে ভ্যাকসিন। ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন রোহিঙ্গা এবং ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মাঝে দেওয়া হবে এই ভ্যাকসিন।

ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন জানান, ক্যাম্পেইনে জেলার ১৩ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৪ জন স্থানীয় ও রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে খাওয়ানো হবে ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন। যারমধ্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠী ৪ লাখ ৭ হাজার ৯৯৭ জন এবং রোহিঙ্গা ৯ লাখ ৪৮ হাজার ৫১৭ জন। ক্যাম্পেইনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফর।

GOVT

ব্রিফিংয়ে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. টিটু চন্দ্র শীল বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী, রোহিঙ্গা ক্যাম্প, উখিয়া উপজেলার সকল ইউনিয়ন, টেকনাফ উপজেলার হোয়াইকং ও হ্নীলা ইউনিয়ন, রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের পুরাতন ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের পুরাতন ১ নম্বর ওয়ার্ডের এক বছরের অধিক বয়সী সকল জনগোষ্ঠীকে এক ডোজ ওরাল কলেরা ভ্যাকসিন খাওয়ানো হবে। এরমধ্যে স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জন্য ২৭৩টি টিমে কাজ করবে ৭৪৪ জন স্বেচ্ছাসেবক। তারা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০০ জনকে টিকা খাওয়াবে।

এছাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে এক হাজার ৬০৫টি টিমের তিন হাজার ২১০ জন স্বেচ্ছাসেবক। তারাও প্রতিদিন ৩০টি বাড়ি পরিদর্শন করে টিকা খাওয়াবে।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ফয়সাল মাহমুদ ও কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মমতাজ উদ্দিন বাহারি।

Shoroter Joba

Scroll to Top