কক্সবাজার সৈকতের হ্যাচারিতে ফুটছে বিপন্ন কাছিমের ডিম

কক্সবাজার সৈকতের হ্যাচারিতে ফুটছে বিপন্ন কাছিমের ডিম

কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের প্যাঁচার দ্বীপ সৈকতে ১ জানুয়ারি রাতে ডিম পাড়তে আসে অলিভ রিডলে প্রজাতির একটি মা কাছিম। ৭৬টি ডিম পেড়ে কাছিমটি পুনরায় গভীর সাগরে ফিরে যায়। ডিমগুলো সংরক্ষণ করা হয় নেকমের একটি প্রজনন হ্যাচারিতে। বৃহস্পতিবার সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বালুর নিচে সারবদ্ধ গর্তে রাখা হয়েছে আরও ১৯টি কাছিমের ২ হাজার ৩১৯টি ডিম। আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে ৬০ শতাংশ ডিম থেকে বাচ্চা জন্ম নিতে পারে।

গবেষকদের মতে, মা কাছিম বারবার ডিম পাড়তে একই স্থানে আসে। এমনকি জন্ম নেওয়া স্ত্রী কাছিমগুলো পূর্ণবয়স্ক হলে প্রজনন ঋতুতে ডিম পাড়তে জন্মভূমি কক্সবাজারে ছুটে আসবে। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের চেয়ারম্যান গবেষক সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার বলেন, গভীর সমুদ্র থেকে ছুটে আসা মা কাছিম নির্জন সৈকতে বালুচরে উঠে প্রথমে ডানা দিয়ে বড়সড় গর্ত খোঁড়ে। তারপর সেই গর্তে ৬০ থেকে ১২০টি পর্যন্ত ডিম ছেড়ে বালু দিয়ে গর্তটি চাপা দেয়। তারপর ধীরে ধীরে আবার সাগরে নেমে যায়। প্রজনন মৌসুমে তারা দল বেঁধে বালুকাময় সৈকতে জড়ো হয় এবং বাসা (গর্ত) খুঁড়ে ডিম পাড়ে। প্রায় ১৯ বছর সাগরে বিচরণ শেষে যখন প্রাপ্তবয়স্ক হয়, তখন স্ত্রী কাছিম ডিম পড়ার জন্য জন্মভূমিতে (সৈকতে) ফিরে আসে।

Scroll to Top