শহরের বৃষ্টির পানি সুষ্ঠু প্রবাহের জন্য খাল, নালা, জলাশয় (জিরানী খাল, মান্ডা খাল, সেগুনবাগিচা-আরামবাগ খাল, গোড়ান-বাসাবো খাল, শ্যামপুর খাল ও কালুনগর খাল) এবং বক্সকালডার্ট (সেগুনবাগিচা, পান্থপথ ও পরিবাগ) সমূহে দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা, আবর্জনা ও রাবিশ পরিস্কার করা হয়েছে, নিকটবর্তী নদী বা নিষ্কাশন পর্যন্ত পানি প্রবাহ নির্বিঘ্নে করার জন্য অবৈধ দখল উচ্ছেদ করা হয়েছে ও উচ্ছেদ কার্যক্রম চলমান রয়েছে বলে সংসদে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) জাতীয় সংসদে এমপি মো. নাসের শাহরিয়ার জাহেদীর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকা শহরের বিভিন্ন খাল এবং নালা দখল করে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক ভবন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান উচ্ছেদের বিরুদ্ধে জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ কার্যক্রম চলমান আছে। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর কামরাঙ্গীর চর এলাকায় নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং আদি বুড়িগঙ্গা পূর্বের অবস্থায় ফিরে এসেছে।
তিনি আরও জানান, খাল পুনরুদ্ধার, সংস্কার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২০ কি.মি, দৈর্ঘ্য বিশিষ্ট চারটি খাল (মান্ডা, জিরানী, কালুনগর ও শ্যামপুর) উন্নয়ন ও নদীর সাথে পুনঃসংযোগ, স্বাভাবিক প্রবাহ নিশ্চিত এবং নাব্যতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্বলিত খাল উন্নয়ন প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয়েছে। পরবর্তীতে সকল ধরণের অবৈধ স্থাপনাসমূহ উচ্ছেদ করে খাল সমূহের নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।
এমপি মোরশেদ আলমের অপর এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঘনবসতিপূর্ণ রাজধানী ঢাকায় পানির জলাধারগুলো ক্রমেই বিলীন হওয়ার পথে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনা মোতাবেক ঢাকায় জলধারগুলো উন্মুক্ত করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অগ্নিকাণ্ড বা দুর্ঘটনা ঘটলে ঢাকা ওয়াসা তাৎক্ষণিক অগ্নি নির্বাপন ফায়ার সার্ভিসকে সার্বিক সহযোগিতা করে থাকে।
রাজধানীতে পানির উৎস বাড়ানোয় লক্ষ্যে খালগুলো সংস্কার ও অবৈধ দখলমুক্ত করার কার্যকম চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।