আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব ও লেনদেন স্থগিত রাখতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা পাঠিয়ে অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে বলেছে। রাতে বিএফআইইউর সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএফআইইউর চিঠিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত ব্যক্তি ও তার ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো হিসাব পরিচালিত হয়ে থাকলে সেই হিসাবের লেনদেন মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় ৩০ দিনের জন্য স্থগিত রাখা এবং তাদের নামে কোনো লকার থাকলে তার ব্যবহার ৩০ দিনের জন্য বন্ধ করার নির্দেশনা দেওয়া হলো।
ওবায়দুল কাদেরের ব্যাংক হিসাব স্থগিতের চিঠিতে তার মা–বাবার নামোল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি তার জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর এবং জন্ম তারিখও উল্লেখ করা হয়েছে। লেনদেন স্থগিতের পাশাপাশি সব ব্যাংক হিসাবের সংশ্লিষ্ট তথ্য বা দলিল, যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি ও লেনদেন বিবরণী প্রভৃতি তথ্য বিএফআইইউর কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের ২০১৬ সালের অক্টোবর থেকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে রয়েছেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে পর্যন্ত তিনি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি। ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন।