রহমতের বিল সীমান্ত এলাকার আশপাশে সব ধানের খেত। গতকাল সেখানে কোনো কৃষক দেখা যায়নি। রহমতের বিল এলাকার মোহাম্মদ রফিক প্রথম আলোকে বলেন, গত শুক্রবার রাত থেকে গুলির শব্দ শোনার পর তাঁরা আর জমিতে নামছেন না। এভাবে আর কত দিন তাঁদের বসে থাকতে হবে জানেন না।
কৃষক রফিকের মুখের কথা কেড়ে নিয়ে আরেক কৃষক আবদুল বারেক বলেন, ঘরে যা কিছু আছে, তা দিয়ে কোনো রকম চলছে। এভাবে আর কয়েক দিন চললে না খেয়ে থাকতে হবে।
একই অবস্থা ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার কৃষকদের। এখানকার বেশির ভাগ কৃষক বাদাম ও ধানের চাষ করেছেন। কৃষক মোহাম্মদ মিয়া বলেন, শুক্রবারের পর থেকে তাঁরা ঘরে বসে আছেন। আবার কেউ কেউ আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতে ভয়ে চলে গেছেন। বেঁচে থাকাটাই তাঁদের জন্য এখন বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আবার বেঁচে থাকলেও কী খাবেন, সেই চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছে।
উখিয়ার পালংখালী ইউপি চেয়ারম্যান এম গফুর উদ্দিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, সীমান্ত এলাকায় প্রায় দুই হাজার কৃষক আতঙ্কে জমিতে নামতে পারছেন না। ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, সীমান্ত এলাকায় প্রায় দুই হাজার কৃষকের দিন কাটছে আতঙ্কে।