লাইফস্টাইল ডেস্ক
কথায় আছে, ‘আদাজল খেয়ে লাগা’, অর্থ্যাৎ নিবিষ্টচিত্তে লেগে থাকা। ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও কথাটি এবার মিলে গেল! আদা নিয়মিত খেলে ওজন কমে, সম্প্রতি একটি গবেষণা এমনই তথ্য দিয়েছে। এই গবেষণায় আদার একটি রেসিপির কথা বলা হয়েছে। এটি শরীরের বিপাকীয় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমাতে সহায়তা করে।
আসুন, জেনে নেই ওজন কমানোর সহজ রেসিপিটি
আদা বাটা ১ কাপ
লেবু ১ টি
পানি আড়াই কাপ
আদার রসের গুনাগুন
বানানোর পদ্ধতি —
একটি পাত্রে পানি ও আদা বাটা একসাথে মেশাতে হবে। স্বাভাবিক তাপে ৫ মিনিট ফোটাতে হবে মিশ্রণটি। এরপর চুলা থেকে নামিয়ে অন্তত ২০ মিনিট ঠান্ডা করে ছাঁকতে হবে এটি। মিশ্রণের সাথে লেবু মিশিয়ে নাড়তে হবে। ফ্রিজে রেখে নিয়মিত খেতে হবে।
আদার বৈজ্ঞানিক গুণাগুণ
রান্নার কাজে আদা ব্যবহৃত হচ্ছে হাজার বছর ধরেই। কিছু গবেষণা বলছে, রোগ প্রতিরোধের জন্য আদা অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া আদা ত্বকের পোড়া দাগ দূর করে এবং রক্ত চলাচল প্রক্রিয়া স্বাভাবিক রাখে। যাদের ঠান্ডার সমস্যা লেগেই থাকে সারাবছর, তারা আদা খেলে উপকার পাবেন।
শরীরের পোড়া অংশে আদা ছেঁচে লাগালে জ্বালাপোড়া ভাব দূর হয়। এছাড়া যেকোন ব্যথা বিশেষ করে বাতের ব্যথা দূর করার জন্য আদাকে সঙ্গী হিসেবে বেছে নিতে পারেন।
আদার রসের গুনাবলী —
হজমশক্তি বাড়ায়
হজমশক্তি বাড়াতেও আদার জুড়ি নেই। গ্যাষ্ট্রিক থেকে পেটে ব্যথা হয় অনেকেরই। সেক্ষেত্রে আদা অত্যন্ত কার্যকরী আদা খেলে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে গ্যাষ্ট্রিকের সমস্যা থাকে না।
বমি বমি ভাব কমায়
অনেক সময় বমি বমি ভাব অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষ করে গর্ভকালীন এই সমস্যা অনেক মেয়েদের একেবারে কাবু করে ফেলে। এক্ষেত্রে আদা অত্যন্ত উপকারি। এই রেসিপিটি দিতে পারে বমি কিংবা বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি।
ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
আদার আরও একটি বিশেষ গুণ রয়েছে। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে এটি। দ্রুত ওজন কমানো সহ কিছু শারীরিক সমস্যায় এই রেসিপিটি দিতে পারে সহজ সমাধান। এটি নিয়মিত খেলে নিজেই নিজের পরিবর্তন লক্ষ্য করবেন।
সারাবাংলা/এসবিডিই