‘লাভ বাজ’ তো সিকুয়েল, এর আগে ‘ব্যাড বাজ’ করেছিলাম। তখন যেসব চরিত্র করেছি, এখানেও একই চরিত্র। গল্পটা অন্যভাবে এগিয়েছে, তাই আমার চরিত্র ফারিয়ারও পরিবর্তন আছে। আগে থেকেই কাজটি ঠিক করা ছিল। সত্যি বলতে, অমি ভাইয়ের কাজ হাতে নেওয়ার আগে তো ভাবি না। তিনি যখন যাঁকে যে চরিত্রে অভিনয়ের সুযোগ দেন না কেন, পর্দায় একটা জাদু তৈরি করেন। যত ছোট চরিত্রই হোক না কেন, ওটা জনপ্রিয়তা পায়। এসব জায়গা থেকে আমরা সব শিল্পী তাঁকে বিশ্বাসও করি। আমরাও কোনো দিন জানতে চাই না, গল্পটা কী। এটা শিল্পী হিসেবে আমাদের জন্য অনেক বড় ব্যাপার যেমন, তেমনি পরিচালক হিসেবে তাঁর জন্যও। আর ‘দুঃখিত’ নাটকে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই নাকি আমাকে আর পলাশকে চাচ্ছিল। আমরা দুজন এই প্রথম একক কোনো কাজ করলাম। এমনটা আগে করিনি। এটাতে কাজ করে অসাধারণ অভিজ্ঞতা হয়েছে।
প্রথম আলো :
কেমন সেটা?
দুঃখিত নাটকে কাজ শুরুর আগে আমরা ১০ থেকে ১৫ দিনের প্রস্তুতি নিয়েছি। চিত্রনাট্য পড়ার জন্য সময় দিয়েছি। পোশাক ও কলাকুশলী দলের সঙ্গে বসেছি। একটা সিনেমা যেভাবে শুটিং করা হয়, সেভাবেই আমরা কাজটা করেছি। পার্থক্য হচ্ছে, আমাদের এটা দৈর্ঘ্যে ছোট, কোনো বড় সিনেমা নয়। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে যে সিনেমার শুটিং করছি। এই প্রথম আমার মনে হয়েছে, যেকোনো কাজে আমার নিজের কোনো মাথাব্যথা নেই। কারণ, নাটকের ক্ষেত্রে অভিনয় নিয়ে যেমন ভাবতে হয়, তেমনি পোশাক থেকে শুরু করে যাবতীয় সব যন্ত্রণা মাথায় নিতে হয়। ওটিটির কাজে মাথাব্যথা নেওয়ার জন্য আলাদা সব বিভাগ থাকে। আমাদের প্রতিটি বিভাগে আলাদা লোকজন ছিলেন। তাই অভিনয়ে বেশি মনোযোগ দিতে পেরেছি। এসব দেখে নিজেকে সিনেমার নায়িকা মনে হয়েছে।



