এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েও যে কারণে ট্রফি নিল না ভারত – DesheBideshe

এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েও যে কারণে ট্রফি নিল না ভারত – DesheBideshe

আবুধাবি, ২৯ সেপ্টেম্বর – চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর দলটির অধিনায়ক খালি হাতে ট্রফি বয়ে আনার ভঙ্গি করছেন, এরপর ট্রফি ছাড়াই চ্যাম্পিয়ন দলটির ক্রিকেটাররা উল্লাসে মেতে উঠছেন, পাশে হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে তা দেখছিলেন আয়োজক সংস্থাটির চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে কর্মকর্তারা।

বিরল এমন দৃশ্যটিই দেখা গেলো গতকাল (রোববার) রাতে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের ফাইনাল শেষে। ফাইনালে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারানোর পরও চ্যাম্পিয়ন ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় ভারতীয় ক্রিকেট দল। ক্রীড়া ইতিহাসে এমন ঘটনা আর কখনো ঘটেছে কি না সন্দেহ।

দুবাইয়ে রোববার রাতের রোমাঞ্চকর ম্যাচ শেষে প্রায় এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বিলম্বিত হয়। শেষ পর্যন্ত ভারতীয়রা ট্রফি না নিয়েই প্রতীকি উদযাপন করেন। মূলত এশিয়া কাপের আয়োজক সংস্থা এসিসির চেয়ারম্যান পাকিস্তানের মাহসিন নাকভি হওয়ার কারণেই তার কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায় ভারতীয় ক্রিকেটাররা।

বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ শাইকিয়া এএনআইকে বলেন, `আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এএসসি) চেয়ারম্যানের (মাহসিন নাকভি) কাছ থেকে ট্রফি নেব না। তিনি পাকিস্তানের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা হওয়ায় আমরা তার কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণে অনিচ্ছুক। তবে এর মানে এই নয় যে ট্রফি ও পদকগুলো পাকিস্তানের সঙ্গে থেকে যাবে। আমরা আশা করি দ্রুতই ট্রফি ও পদকগুলো ভারতের হাতে তুলে দেওয়া হবে।’

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে দেখা যায়, ভারতীয় ক্রিকেটার কুলদীপ যাদব, অভিষেক শর্মা ও তিলক বার্মা ব্যক্তিগত পুরস্কার নিলেও পাকিস্তানি কর্মকর্তা মাহসিন নাকভিকে উপেক্ষা করেন। রানার্সআপ পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমান আগা অবশ্য নাকভির হাত থেকে চেক গ্রহণ করেন।

ফাইনালের পর সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব বলেন, ‘এ রকম ঘটনা আমি ক্রিকেটে কখনো দেখিনি। কঠিন পরিশ্রমের ফল পাওয়া সত্ত্বেও আমরা ট্রফি থেকে বঞ্চিত হলাম। তবে আমার কাছে সত্যিকারের ট্রফি হলো সতীর্থ ও সাপোর্ট স্টাফরা।’

পুরো ঘটনা ঘিরে মাঠে দীর্ঘ সময় অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ট্রফি মঞ্চ থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়, আর ভারতীয়রা পরে কল্পিত ট্রফি হাতে নিয়ে উল্লাস করেন।

ভারতের এই অবস্থান আগেই অনুমেয় ছিল। পুরো টুর্নামেন্টেই তারা পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে করমর্দন এড়িয়ে চলে। এর ফলে দু’দলের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। সুপার ফোরের ম্যাচে একাধিকবার উত্তপ্ত বাক্যবিনিময়ও হয় দুই শিবিরের মধ্যে।

আইসিসির আগামী নভেম্বরে দুবাই সম্মেলনে এ ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানাবে পাকিস্তান।

সূত্র: জাগো নিউজ
এনএন/ ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫



Scroll to Top