স্পোর্টস ডেস্ক
করোনা মহামারি চলার কারনে ২০২০ ইউরো পিছিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ২০২১ সালে। আর সেই মহামারির ভেতরেই অনুষ্ঠিত ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের শুরুতেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পড়ে গিয়েছিলেন ক্রিস্তিয়ান এরিকসেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে লুটিয়ে পড়েছিলেন মাঠে, জেগেছিল মৃত্যুভয়ও। তবে, সত্যিকারের যোদ্ধার মতো কঠিন সেই সময়কে পেছনে ফেলে, দীর্ঘ ও ক্লান্তিকর চিকিৎসা নিয়ে তিনি মাঠে আবারও ফেরেন। জানান দেন, এখনও তার দেওয়ার আছে অনেক কিছু। মৃত্যুকে পাশ কাটিয়ে আবারও ফিরেছেন মাঠের ফুটবলে। আর ফিরেই ইউরোতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে গোল করেছেন এরিকসেন।
স্টুটগার্টে রোববার স্লোভেনিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের সপ্তদশ মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন এরিকসেন। থ্রো ইনের পর আরেক সতীর্থ ইয়োনাস উইন্ডের ফ্লিক পাস বুক দিয়ে রিসিভ করে নিখুঁত কোনাকুনি শটে জাল খুঁজে নেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের এই ফুটবলার।
ডেনমার্কের জার্সিতে ১৩১ ম্যাচে এটি এরিকসেনের ৪২তম গোল। দলটির ইতিহাসের যৌথভাবে চতুর্থ সর্বোচ্চ গোলদাতা ৩২ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
২০২১ সালে ইউরোয় ফিনল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচ চলাকালীন হৃদরোগে আক্রান্ত হয় এরিকসেন। মাঠে বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে নেওয়া হাসপাতালে। এরপর চলে দীর্ঘ ও জটিল চিকিৎসা পর্ব।
এরিকসেনের শরীরে ইমপ্ল্যানটেবল কার্ডিওভার্টার ডেফিব্রিলেটর (আইসিডি) বসানো হয়। এটি একটি ছোট ইলেকট্রনিক ডিভাইস, পেসমেকারের মতো যা কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট প্রতিরোধ করে হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রাখার কাজ করে। শরীরে ওই যন্ত্রটি নিয়েই খেলে যাচ্ছেন তিনি। তিন বছরের চুক্তিতে এখন তিন খেলছেন ইউনাইটেডে।
ওই আসরে ডেনিশরা সেমি-ফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছিল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে হেরে। এবার ইউরো মিশন শুরুর আগে ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার বলেছিলেন, দুঃস্বপ্নময় অতীত ভুলে তিনি জার্মানির আসর শুরু করতে চান ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে। গোল করে সেই আভাসই দিলেন তিনি।
এরিকসেনের করা গোলই ডেনিশদের জয়ের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। তবে ম্যাচের ৭৭তম মিনিটে এসে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন স্লোভেনিয়ার ডিফেন্ডার এরিক জানজা। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে ডেনিশ খেলোয়াড় পাস দিয়ে বসেন ডি বক্সের সামনে থাকা জানজাকে। আর সেখানে বল পেয়ে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। তাতেই ম্যাচে সমতায় ফেরে স্লোভেনিয়া।
শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি শেষ হয় ১-১ গোলের সমতায়। সি গ্রুপের আরেক ম্যাচে মুখোমুখি লড়াইয়ে নামবে ইংল্যান্ড ও সার্বিয়া।
সারাবাংলা/এসএস