এন্ড্রিকের গোলে ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল

এন্ড্রিকের গোলে ইংল্যান্ডকে হারাল ব্রাজিল

গেল বছরের শেষ চার ম্যাচেই জয়শূন্য। যার মধ্যে হেরেছিল শেষ তিন ম্যাচে। বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ভেনেজুয়েলার বিপক্ষে ড্রয়ের পর হারে সবশেষ তিন ম্যাচে; উরুগুয়ে, কলম্বিয়া ও ঘরের মাঠে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। ছয় মাস পর অবশেষে এবার জয়ের স্বাদ পেল রেকর্ড পাঁচবারের বিশ্বকাপ জয়ীরা।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চোটজর্জরিত ব্রাজিল একাদশ সাজাতেই হিমশিম খেয়ে যায়। তবে ভিনিসিয়াস, রদ্রিগো আর রাফিনহাদের নিয়ে সাজানো আক্রমণভাগ শুরু থেকেই দারুণ খেলতে থাকে। চোটগ্রস্ত ব্রাজিল দলে এদিন অভিষেক হয় পাঁচ জনের। ঢিমেতালে শুরু ম্যাচে নবম মিনিটে প্রথম সুযোগটা পায় সফরকারীরা। ২০ গজ দূর থেকে রদ্রিগোর শট ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক।

দ্বাদশ মিনিটে আবারও ব্রাজিলের হানা। লুকাস পাকেতার উঁচু করে বাড়ানো থ্রু বল ধরে গতিতে সবাইকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে পড়েন ভিনিসিয়াস জুনিয়র, সামনে তখন একমাত্র বাধা গোলরক্ষক। তবে এমন দুর্বল শট তিনি নিলেন যে, গোলরক্ষককে ফাঁকি দিলেও বল গোললাইন পর্যন্ত পৌঁছাল না, অনায়াসে ঠেকিয়ে দিলেন কাইল ওয়াকার। এমন সুবর্ণ সুযোগ হেলায় হারিয়ে মাথায় হাত উঠে যায় রেয়াল মাদ্রিদ ফরোয়ার্ডের।

পরের চার মিনিটে আরও দুটি ভালো আক্রমণ শাণায় ব্রাজিল, কিন্তু কোনোটিতেই সাফল্যের দেখা মেলেনি। ১৮তম মিনিটে প্রথম উল্লেখযোগ্য সুযোগ পায় ইংল্যান্ড, কিন্তু ছয় গজ বক্সের বাইরে থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ওলি ওয়াটকিন্স। ২০তম মিনিটে বড় একটি ধাক্কা খায় ইংল্যান্ড। পায়ে অস্বস্তি বোধ করা অধিনায়ক ও অভিজ্ঞ রাইট-ব্যাক ওয়াকারকে তুলে নেন কোচ।

৩৫তম মিনিটে দারুণ এক আক্রমণ থেকে ডি বক্সের ভেতর থেকে নেওয়া পাকেতার শট পোস্টে লেগে গোল বঞ্চিত করে ব্রাজিলকে। অন্যদিকে প্রথম ৪০ মিনিটে তাকে তেমন কোনো পরীক্ষার মুখেই পড়তে হয়নি ব্রাজিলকে। ইংল্যান্ড যে লক্ষ্যে কোনো শটই নিতে পারছিল না।

Scroll to Top