মহিউদ্দীন মহারাজ একজন আলোচিত রাজনীতিবিদ এবং নবীন সংসদ সদস্য। তিনি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগ-এর যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এর দায়িত্ব পালন করছেন।
মহারাজ ২০২৪ সালের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঈগল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এর আগে তিনি পিরোজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
ছাত্রজীবন থেকে তিনি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত। বিগত দিনে তিনি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।
পিরোজপুর জেলা সদরসহ জেলার অন্যান্য উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সকল রাজনৈতিক কর্মকান্ডে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত থেকে গত ৭ জানুয়ারি তারিখে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২৮, পিরোজপুর-২ (কাউখালী-ভান্ডারিয়া ও নেছারাবাদ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে ২০১৬ সালের ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রথম জেলা পরিষদ নির্বাচনে পিরোজপুর জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে পিরোজপুর জেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ আগ্রহে জেলা পরিষদের প্রশাসক মনোনীত হন তিনি।
তবে ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দল সমর্থিত প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে জেলা পরিষদ নির্বাচন থেকে সরে দাড়ান।
স্থানীয় রাজনীতিতে বিশেষ করে পারিবারিক দিক থেকে মহিউদ্দিন মহারাজের দাদা মরহুম খবির উদ্দিন আহমেদ একটানা প্রায় ২৫ বছর যাবৎ পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
পিতা মোঃ শাহাদাৎ হোসেন পরপর তিনবার নির্বাচিত ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। তাঁর মেঝ ভাই মোঃ মিরাজুল ইসলাম একই সাথে ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে পরপর দুইবার নির্বাচিত বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে তিনি ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।
সেঝ ভাই মোঃ শামসুদ্দিন হাওলাদার পিতার অবর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হিসেবে পরপর দুইবার ভান্ডারিয়া উপজেলার তেলিখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করছেন।
একই সাথে মোঃ শামসুদ্দিন হাওলাদার তেলিখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও ভান্ডারিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শশুরকূলের দিক থেকেও মহিউদ্দিন মহারাজের দাদা শ্বশুর, শ্বশুর ও ফুফা শ্বাশুরী পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া উপজেলার ১নং তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন।
পিরোজপুর-২ আসনে (ভান্ডারিয়া, কাউখালি, নেছারাবাদ) বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, সাবেক মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর ৩৮ বছরের সাম্রাজ্যের ইতি ঘটিয়েছেন। এই আসনে নতুন সাংসদ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ।
পিরোজপুর-২ আসনের ৬ বারের সংসদ সদস্য জাতীয় পার্টি (জেপির) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু। ১৯৮৫ সাল থেকে শুরু করে ১৭ বছর মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব পালন করেন এই বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এবং একবার উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
এ ১/১১-এর সময় মঞ্জুর বিরুদ্ধে মামলা থাকায় ২০০৮ সালে তিনি নির্বাচন করতে পারেননি। তার সময়ে এলাকায় ব্যাপক উন্নয়ন হওয়ায় প্রায় চার দশক ধরে ছিলেন অপ্রতিদ্বন্দ্বী। তবে কয়েক বছর ধরে তাকে শক্ত চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিলেন তারই সাবেক পিএস মহিউদ্দিন মহারাজ।
এবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে হারতে হয়েছে তার সেই শিষ্যের কাছে। তিন উপজেলা মিলিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন মহারাজ ঈগল প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৯৯ হাজার ২৬৮ ভোট আর নৌকা নিয়ে জাতীয় পার্টির (জেপি) চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু পেয়েছেন ৭০ হাজার ৬৮১ ভোট।
সম্প্রতি রাজু আলীম প্রযোজিত চ্যানেল আইয়ের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান মেট্রোসেম ‘টু দ্য পয়েন্ট’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে এসেছিলেন গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পিরোজপুর-১ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্ধী বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জুকে পরাজিত করে বিজয়ী হওয়া মহিউদ্দীন মহারাজ এবং বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) এর কন্দ্রেীয় নর্বিাহী কমটিরি সদস্য এডভোকেট রফিক সিকদার।
‘রাজনীতিতে এরপর কী- শিরোনামের আলোচনায় উপস্থাপক সোমা ইসলামের প্রাণবন্ত এবং সমসাময়িক ইস্যু ভিত্তিক নানা প্রশ্নের জবাবে হালের বহুল আলোচিত এই নবীন সংসদ সদস্য তার প্রতিদ্বন্ধী এক সময়ের বস এবং বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষ বিএনপির রাজনীতি ও নিজের রাজনৈতিক ভাবনা সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন। উপস্থাপিকা সোমা ইসলাম এক পর্যায়ে তার গুরু মারা রাজনৈতিক চমক ও সাফল্য প্রসঙ্গে অবতারনা করেন।
এ বিষয়টিকে এড়িয়ে না গিয়ে মহিউদ্দীন মহারাজ বলেন, আমি জনাব আনোয়ার হোসেন মঞ্জুর সহকারী একান্ত সচিব হিসেবে কাজ করেছি দীর্ঘদিন। আমি তখন পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছিলাম।
আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সাহেব ভিন্ন দলের মানুষ হওয়ায় আমাকে তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের রাজনৈতিক দল ভিন্ন হতে পারে কিন্তু আমরা তো মহাজোটে রয়েছি। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে তো কোনো সমস্যা নেই। তখন তিনি বিদ্যুৎ ও জ্বালানী মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
তিনি বললেন, আমরা একই এলাকার মানুষ। তুমি আমার সাথে এলে একসঙ্গে মিলে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের বড় ধরনের ভূমিকা রাখতে পারবো। সে হিসেবে আমি আওয়ামী লীগের একজন নেতা হয়েও তার সঙ্গে আমার স্বকীয়তা বজায় রেখে কাজ করেছি। আর আমাকে গুরু মারা শিষ্য আখ্যায়িত করা হচ্ছে এর প্রেক্ষিতে বলি, গত নির্বাচনে আমার যিনি প্রতিদ্বন্ধী ছিলেন সেই আনোয়ার হোসেন মঞ্জু একসময়ে জাতীয় পার্টি প্রধান সাবেক প্রেসিডেন্ট এইচ এম এরশাদের দলে যোগ দিয়েছিলেন। জাতীয় পার্টর মন্ত্রী ছিলেন অনেকদিন। জাতীয় পার্টির এমপি ছিলেন। দীর্ঘদিন জাতীয় পার্টির রাজনীতি করলেও তিনিই প্রথম দল ভেঙে নতুন রাজনৈতিক দল জেপি গড়ে তোলেন। এ প্রেক্ষিতে তাকেই গুরু মারা শিষ্য হিসেবে আখ্যা দেওয়া যায়। আমি তার সহকারী একান্ত সচিব থাকলেও আমার রাজনৈতিক দল ছিল ভিন্ন। আমি তো তার রাজনৈতিক দলের কর্মী কিংবা সদস্য ছিলাম না।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা কথা উঠেছে। প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি অংশ না নেয়ায় নির্বাচনকে প্রহসনের একতরফা নির্বাচন হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এ প্রসঙ্গে মহিউদ্দীন মহারাজ জোর গলায় দাবী করে বলেন, আমার নির্বাচনী এলাকায় শতকরা ৪৭ ভাগ ভোট পড়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের আগে যেমনটি বলেছিলেন, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে, শান্তিপূর্ণ হবে। বাস্তবে তাই ঘটেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এতো সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ , অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন আগে কখনও হয়নি। এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অপেক্ষাকৃত বেশি সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ এবং অবাধ হয়েছে।
প্রতিপক্ষ প্রার্থী তুলনামূলকভাবে অনেক শক্তিশালী হলেও তাঁকে পরাজিত করে রাজনীতিতে রীতিমতো বিষ্ময় সৃষ্টিকারী মহিউদ্দীন মহারাজ বলেন, আমার প্রতিপক্ষের বিপুল অর্থসম্পদ থাকলেও নির্বাচনী হলফনামায় সবকিছু উল্লেখ করেননি। অনেককিছু আড়াল করেছেন। আমি চাইলে এ নিয়ে অভিযোগ আনতে পারতাম। কিন্তু তা করিনি।
বিরোধী দলের রাজনীতি প্রসঙ্গে মহিউদ্দীন মহারাজ বলেন, তারা সবসময় দেশে আইনের শাসন নেই, কথাবলার স্বাধীনতা নেই ইত্যাদি অভিযোগ আনেন সরকারের বিরুদ্ধে। তাদের এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। কারণ, তারা নিয়মিতভাবে মিটিং, মিছিল করছেন, যেখানে সেখানে ইচ্ছেমতো নিজেদের কথা বলছেন । কই সেখানে তো তাদের কেউ বাধা দিচ্ছেনা। আইন আদালত যদি সরকারের কথায় চলতো, বিচার বিভাগ যদি সরকার নিয়ন্ত্রণ করতো তাহলে বিএনপির শীর্ষ নেতারা কীভাবে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বেরিয়ে আসছেন? তারা বিগত নির্বাচনগুলো বর্জন ও প্রতিরোধের নামে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে। তারা ট্রেনে, বাসে আগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে। এভাবেই তারা ক্ষমতায় যেতে চায়। এভাবে তো ক্ষমতায় যাওয়া সম্ভব নয়। দেশের সাধারণ মানুষ তাদের সঙ্গে নেই। তারা উন্নয়ন চায়, ভাত-কাপড়ের নিশ্চয়তা চায়। তারা একটি সমৃদ্ধ, সুন্দর, উন্নত বাংলাদেশ চায়। আওয়ামী লীগ সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের মাধ্যমে এদেশের মানুষের যাবতীয় আকাঙ্খা পূরণে বদ্ধপরিকর।
উপস্থাপিকা সোমা ইসলাম দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থার কথা তুলে ধরলে মহিউদ্দীন মহারাজ বলেন, মূল্যস্ফীতির কারণে সমাজের সর্বস্তরের মানুষ কষ্টে আছেন, এটা মানছি। কিন্তু সরকার তো বসে নেই। দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের আওতার মধ্যে রাখার জন্য বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। টিসিবির মাধ্যমে নিম্নআয়ের মানুষের জন্য অপেক্ষাকৃত কম ও নায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এটা সাধারণ মানুষকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে পেরেছে বলে তিনি দাবী করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, সরকার দেশে দারিদ্রতা অনেক কমিয়ে এনেছে।
বিরোধী দলকে গঠনমূলক রাজনীতির আহ্বান জানিয়ে মহিউদ্দীন মহারাজ বলেন, এদেশে হিংসা, সন্ত্রাস, ধ্বংসের রাজনীতির দিন শেষ হয়ে গেছে। সবাই এখন উন্নয়ন চায়, সমৃদ্ধি চায়, দেশকে এগিয়ে নিতে চায়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তা নিশ্চিত করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে বলে সাধারণ মানুষ এই দলের পক্ষে রয়েছে।
তারা নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়েছে। শান্তির স্বপক্ষে রায় দিয়েছে। হিংসা, সন্ত্রাস ধ্বংসের রাজনীতি এখন মানুষ বর্জন করেছে। ফলে বিরোধী রাজনৈতিক পক্ষের সন্ত্রাস ও ধ্বংসের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের কোনো অংশগ্রহণ নেই। তারা দিনে দিনে জনসমর্থন হারিয়ে একঘরে, নিঃস্ব, বন্ধুহীন হয়ে পড়েছে। এভাবে রাজনীতি করে গেলে আগামী দিনগুলোতে তাদের ভবিষ্যত অনিশ্চিত অন্ধকারে তলিয়ে যাবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও তাদের ভ্রান্ত, অকার্যকর, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি সমর্থন পায়নি। সবাই উপলব্ধি করেছে, আওয়ামী লীগই একমাত্র বাংলাদেশকে শক্তিশালী অবস্থানে অধিষ্ঠিত করবে। আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মসূচি দেশকে এগিয়ে নেবে।
তিনি বলেন, একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ নিরাপদ এবং ক্রমশ আরও শক্তিশালী হবে। আমি এমপি হিসেবে নয়, ভালোবাসা নিয়ে সবার ভাই হয়ে থাকতে চাই। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার জন্য আপ্রাণ কাজ করে যাবো। আওয়ামী লীগ সরকারের গত দেড় দশকের ধারাবাহিক উন্নয়নের সুবিধা পাচ্ছে দেশের সব মানুষ। এখন দেশের প্রতিটি মানুষ অবকাঠামো উন্নয়নসহ ডিজিটাল বাংলাদেশের সুবিধা ভোগ করছে।