ওয়াশিংটন, ০৫ ফেব্রুয়ারি – ইরাক ও সিরিয়ায় ইরানপন্থি সশস্ত্র গোষ্ঠীদের নিশানা করে গত সপ্তাহে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী। তবে এর মাধ্যমে এই দুই দেশে হামলা চালানোয় ইতি টানছে না যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউস বলছে, এই দুই দেশে তারা মাত্র হামলা শুরু করেছে। খবর বিবিসির।
গত মাসে জর্ডানের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হওয়ার জবাবে শুক্রবার ইরাক ও সিরিয়ায় ৮৫টি লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। এসব হামলায় দুই দেশে ৪০ জনের মতো মানুষ নিহত হয়েছেন।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, সমন্বিত এসব হামলা ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডসের (আইআরজিসি) কুদস ফোর্স ও সহযোগী সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে চালানো হয়েছে।
গত ২৮ জানুয়ারি জর্ডানের একটি মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত হয়। আহত হয় আরও ৪১ সেনা। ৭ অক্টোবর গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই হামলায় মধ্যপ্রাচ্যে প্রথমবারের মতো কোনো মার্কিন সেনা প্রাণ হারান। এই হামলার জন্য ইরানপন্থি একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীকে দায়ী করে আসছে বাইডেন প্রশাসন। ইরান এই হামলায় জড়িত থাকার বিষয়ে অস্বীকার করলেও তেহরানপন্থি একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী এই হামলার দায় স্বীকার করেছে।
এ ছাড়া ইরাক ও সিরিয়ায় হামলা চালানোর পরের দিন শনিবার ইয়েমেনের সশস্ত্র হুতি বিদ্রোহীদের ৩৬টি স্থাপনায় হামলা চালায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য। এক বিবৃতিতে পেন্টাগন জানিয়েছে, শনিবার রাতে হুতিদের ভূগর্ভস্থ অস্ত্র মজুদকেন্দ্র, ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা, লঞ্চার ও অন্যান্য স্থাপনায় হামলা করা হয়েছে। এসব সরঞ্জাম ব্যবহার করে হুতি যোদ্ধরা লোহিত সাগর দিয়ে চলাচলকারী জাহাজে হামলা চালিয়ে আসছিল।
রোববার হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান এনবিসি নিউজকে বলেন, একটি স্পষ্ট বার্তা দিতে আমরা আরও হামলা এবং আরও পদক্ষেপ নিতে চাই। এই বার্তা হলো আমাদের বাহিনী আক্রান্ত হলে, আমাদের মানুষ নিহত হলে যুক্তরাষ্ট্র তার জবাব দেবে।
এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ভেতরে সরাসরি হামলার সম্ভাবনা প্রত্যাখ্যান করছে কি না, জানতে চাইলে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান সুলিভান।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪