কোরআনে আছে, ‘ওরা বলল, তোমরা তো আমাদেরই মতো মানুষ। করুণাময় আসলে কিছুই অবতীর্ণ করেননি। তোমরা কেবলই মিথ্যা বলছ।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত: ১৫)
তাদের রূঢ় কথাবার্তা শুনে কষ্ট পেলেও প্রতিনিধিরা দ্বীনের দাওয়াত চালিয়েই গেলেন। তাঁরা বললেন, ‘আমাদের প্রতিপালকের শপথ, আমরা অবশ্যই তোমাদের কাছে প্রেরিত হয়েছি, স্পষ্টভাবে প্রচার করাই আমাদের দায়িত্ব।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত: ১৬-১৭)
তবু আন্তাকিয়াবাসীরা তাঁদের কথা অমান্য করে চলল। তাদের অবাধ্যতার কারণে আল্লাহ আন্তাকিয়া শহরে দুর্ভিক্ষ দিলেন। আল্লাহর সতর্কতা সঙ্কেত তারা মোটেই বুঝতে পারল না, বরং রাসুলদের তারা বলল, ‘আমরা তোমাদেরকে অমঙ্গলের কারণ মনে করি। যদি তোমরা বিরত না হও, তোমাদেরকে অবশ্যই আমরা পাথর মেরে হত্যা করব ও নিদারুণ শাস্তি দেব।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত: ১৮)
এক সময় তারা রাসুলদের হত্যা করার কথা ভাবল। এই চক্রান্তের খবর শুনতেই হাবিব নাজ্জার তাদের কাছে ছুটে এলেন। তার সম্প্রদায়ের লোকদের অনেক বোঝানোর চেষ্টা করলেন। অথচ তারা তাঁর কথায় মোটেই কান দিল না। কোরআনে আছে, ‘তারা বলল, এ কি এজন্য যে, আমরা তোমাদেরকে উপদেশ দিচ্ছি? তোমাদের অমঙ্গল তোমাদেরই, আসলে তোমরা এক সীমালঙ্ঘনকারী সম্প্রদায়।’ (সুরা ইয়াসিন, আয়াত: ১৯)