আজ ২০ এপ্রিল, একাদশ বর্ষে পদার্পণ করল চ্যানেল আই অনলাইন। দ্রুত এবং সঠিক সংবাদের সমন্বয় করে গত ১০ বছর পার করেছে চ্যানেল আই অনলাইন।
বিশেষ এই দিনে চ্যানেল আই এবং চ্যানেল আই অনলাইনের দর্শক, পাঠক, শুভানুধ্যায়ী, বিজ্ঞাপনদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ।
চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তা প্রধান শাইখ সিরাজ বলেন, চ্যানেল আই সৃষ্টিলগ্ন থেকে আমাদের একটা লক্ষ্য ছিল যে, আমরা বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ, সাংবাদিকতা এবং একই সাথে সুষ্ঠু বিনোদন সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার পাবে। সময়ের সাথে সাথে চিরায়ত মিডিয়ার ধরণ পাল্টেছে। ধীরে ধীরে মিডিয়াগুলো সংকুচিত হয়ে অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোর প্রতাপ বাড়ছে। কারণ, এর মাধ্যমে অনেক দ্রুত মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে খবর। আর সেই হিসেবে চ্যানেল আই অনলাইন শুরু হয় এবং আজ তা ১০ বছর অতিক্রম করলো।
শাইখ সিরাজ বলেন, চ্যানেল আই-এর মূল প্রতিষ্ঠানের যে নীতি-নৈতিকতাগুলো ছিল, সেগুলোর সবগুলোই আমরা অনলাইনে প্রতিফলন করছি। তার কারণ হচ্ছে, এই অস্থির সময়ের ভিতরে আমরা কখনো চাইনি যে, গড্ডালিকা প্রবাহের ভিতরে গা ভাসিয়ে দেয়। একটি সংবাদ প্রচারের আগে, তার সত্যতা প্রমাণ, সত্যতা যাচাই, সেটা সবসময় সবভাবেই করা হয়। এ কারণেই যে, একটি ভুল তথ্য বা সংবাদ সমাজের অনেক ক্ষতি করতে পারে। সে জায়গা গুলোতে সবার আগে সংবাদপ্রচার করতে গিয়ে সমাজ বা রাষ্ট্রের ক্ষতি করবো এমনটা কখনো চ্যানেল আই চায়নি, বরং আমরা সঠিক তথ্য উপস্থাপনের ওপর জোর দিয়েছে।
চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পাঠক-দর্শক-পৃষ্ঠপোষকদের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জানিয়ে চ্যানেল আই অনলাইনের সম্পাদক এবং চ্যানেল আই সংবাদের প্রধান বার্তা সম্পাদক মীর মাসরুর জামান বলেন, আমরা জানি, এখন ডিজিটাল মাধ্যমের যুগ, সেদিক থেকে এই অনলাইন প্ল্যাটফর্ম এখন অডিয়েন্সের জন্য অনেক উপযোগী মাধ্যম এবং এই উপযোগী মাধ্যমের প্রতি মানুষের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশ এই চাহিদাকে আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, আগে টেক্সট নির্ভর অনলাইন মানুষের অনেকটা চাহিদা মেটাতো। এখন অনলাইনের কাছে মানুষের বেশি চাহিদা হচ্ছে, অডিও ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট। এই অডিও ভিজ্যুয়াল কন্টেন্ট জোগাড় করতে গিয়ে এবং প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে অনলাইন মাধ্যমগুলোকে আরও অনেক বেশি নিজেদের শক্তি সামর্থ্য এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতাও বাড়িয়ে চলতে হচ্ছে। এই সবকিছুই একটি মাধ্যমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে যেমন সাহায্য করছে, তেমনি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসছে। এই চ্যালেঞ্জের একটি বড় জায়গা হচ্ছে সঠিক তথ্য যাচাই-বাচাই করতে পারার বিষয়টি। আর চ্যানেল আই অনলাইন সবসময়ই সচেষ্ট রয়েছে, মানুষকে তাৎক্ষণিকভাবে সময় উপযোগী সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করতে।
চ্যানেল আই-এর প্রতি আস্থা রাখার জন্য দর্শকদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা চ্যানেল আইয়ের প্রতি আস্থা রাখেন, আস্থা রাখতে চান, আমরাও আপনাদের আস্থার সঙ্গী হতে চাই।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে ১০ বছর আগের সেই প্রথম সময়ের স্মৃতিচারণ করে চ্যানেল আই অনলাইনের ডিজিটাল অ্যান্ড মাল্টিমিডিয়া এডিটর তৌফিক আহমেদ বলেন, প্রথমেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছি দর্শক এবং পাঠকদের। দশক ফিরিয়ে একাদশ বর্ষে পদার্পন করেছে চ্যানেল আই অনলঅইন। চ্যানেল আই কর্তৃপক্ষ ২০১৪ সালে হাতে নেয়া একটা প্রজেক্ট আজকের ‘চ্যানেল আই অনলাইন’। বস্তুনিষ্ঠতা সংবাদের নীতি নৈতিকতা মেনে ২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল এই পোর্টালটি যাত্রা শুরু করে।
তিনি বলেন, তখন একেবারেই নতুন একটি ব্যাপার ছিল ‘মাল্টিমিডিয়া জার্নালিজম’। বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং দেশের বাইরে ছাত্রজীবনে শেখা বিষয়গুলো নিয়ে ১০ বছর আগেই শুরু এই পথচলা।
২০১৫ সালের ২০ এপ্রিল চ্যানেল আই কার্যালয়ে চ্যানেল আই অনলাইন-এর উদ্বোধন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিস গ্রুপের পরিচালক ফ্র্যান আনস্ওয়ার্থ।