‘একবারই বাঘের সামনে পড়েছিলাম’ বললেন বাওয়ালি রশীদ সানা

‘একবারই বাঘের সামনে পড়েছিলাম’ বললেন বাওয়ালি রশীদ সানা

সুন্দরবন লাগোয়া কয়রার মোহাম্মদ হাওলাদারের ছিল গোলপাতা আহরণের বড় নৌকা। মৌসুম এলে হাওলাদারবাড়িতে তোড়জোড় পড়ে যেত। শ্রমিক সংগ্রহ, বন বিভাগ থেকে অনুমতি নেওয়া, নৌকা মেরামত, গোলপাতা কাটার অন্যান্য সরঞ্জাম জোগাড়—কত কাজ। এই মুহাম্মদ হাওলাদারের মেয়েকেই বিয়ে করেন রশীদ সানা। সুন্দরবনসংলগ্ন ৪ নম্বর কয়রা গ্রামের এক অভাবী পরিবারে তাঁর জন্ম। লেখাপড়া শেখা হয়নি। শিশু বয়সেই শুরু হয় সংগ্রামীজীবন। সুন্দরবনে মাছ ধরা হয়ে ওঠে তাঁর পেশা।
বিয়ের পর শ্বশুরের গোলপাতা আহরণের নৌকা পরিচালনার ভার রশীদ সানার ওপর পড়ে। চার দশক আগের সেসব দিন ষাটোত্তীর্ণ মানুষটার চোখে আজও জ্বলজ্বল করে, ‘বলা যায়, আগে জেলে ও মৌয়াল ছিলাম, বিয়ের পর বাওয়ালি হয়ে গেছি। সুন্দরবনের নদীর বাঁক আর বনের ছোট ছোট খাল, খাঁড়ি ও নালা নিজের হাতের তালুর মতো চেনা। গোলপাতার মৌসুম শেষ হলে আবার মাছ ধরতে বনে আসব। সামনে মধুর চাক পেলে সেটাও কাটব।’

Scroll to Top