এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
এইচ-১বি ভিসা ইস্যুতে টিম ট্রাম্পের নতুন পদ্ধতিতে ব্যাখ্যা করেছেন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট। তার বিবৃতিতে বলা হয়, গুরুত্বপূর্ণ শিল্পগুলিকে দেশে ফিরিয়ে আনা এবং আমদানির উপর নির্ভরতা কমানোর জন্য রিপাবলিকান রাষ্ট্রপতির বৃহত্তর প্রচেষ্টাকে প্রতিফলিত করে।
বৃহস্পতিবার ১৩ নভেম্বর প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন এইচ-১বি ভিসা নীতির লক্ষ্য হলো বিদেশী শ্রমিকদের উপর দীর্ঘমেয়াদী নির্ভরতার পরিবর্তে উচ্চ-দক্ষ চাকরির ক্ষেত্রে আমেরিকানদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য সাময়িকভাবে দক্ষ বিদেশী কর্মীদের যুক্তরাষ্ট্রে আনা। ট্রাম্প তার প্রশাসনের আগ্রাসী অভিবাসন সংস্কারের বিপরীতে বলেছেন যে আমেরিকাকে নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে বিদেশী প্রতিভা আনা দরকার।
প্রশাসন এইচ-১বি ভিসার বিধিনিষেধকে বড় অগ্রাধিকার দেবে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মেধাবী মানুষকে দেশে আনা দরকার।
এই অবস্থানের নমনীয়তা আসে এমন এক সময়, যখন ট্রাম্প প্রশাসন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন কোম্পানির বিদেশি কর্মী নিয়োগে ব্যবহৃত এইচ-১বি ভিসা কর্মসূচিতে ব্যাপক দমননীতি চালাচ্ছে।
প্রযুক্তি কর্মী ও চিকিৎসকসহ ভারতীয় পেশাজীবীরাই এইচ-১বি ভিসার সবচেয়ে বেশি ব্যবহারকারী।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এইচ-১বি ভিসা ফি বৃদ্ধি বিষয়ে প্রতিবেদনে বলা হয়, এই বছরের সেপ্টেম্বরে ট্রাম্প প্রশাসন ‘এইচ-১বি নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা প্রোগ্রাম’ সংস্কারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে ‘কিছু নন-ইমিগ্র্যান্ট কর্মীর প্রবেশে বিধিনিষেধ’ শীর্ষক একটি ঘোষণা জারি করে।
ঘোষণা অনুযায়ী, ২৫ সেপ্টেম্বরের পরে দাখিল করা নির্দিষ্ট এইচ-১বি আবেদনগুলোর যোগ্যতার শর্ত হিসেবে অতিরিক্ত ১,০০,০০০ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর পরে স্পষ্ট করে জানায়, নতুন ফি-এর প্রয়োজন কেবল সেই ব্যক্তি বা কোম্পানির জন্য প্রযোজ্য হবে যারা ২১ সেপ্টেম্বরের পরে নতুন এইচ-১বি আবেদন দাখিল করবে বা এইচ-১বি লটারিতে অংশ নেবে।
বর্তমান ভিসাধারী এবং সেই তারিখের আগে জমা দেওয়া আবেদনগুলো এতে প্রভাবিত হবে না। ঘোষণা অনুযায়ী, ২০২৬ সালের লটারিতে অংশগ্রহণের জন্য জমা দেওয়া আবেদনসহ সময়সীমার মধ্যে দাখিল করা কেসগুলোও এই নীতির আওতায় পড়বে।





