জেরুজালেম, ২৬ মার্চ – যুক্তরাষ্ট্রে একটি উচ্চপদস্থ ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের পূর্বপরিকল্পিত সফর বাতিল করেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। গতকাল সোমবার (২৫ মার্চ) ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্তের কথা জানালেন তিনি।
সোমবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব পাস হয়েছে। এই প্রস্তাবটি উত্থাপন করেছে পরিষদের অস্থায়ী ১০ সদস্য। ভোটাভুটিতে চার স্থায়ী সদস্য দেশ যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীন এবং ১০ অস্থায়ী সদস্য প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবে ভোটদান থেকে বিরত থাকলেও কোনো ভেটো দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতি ছাড়াও গাজায় হামাসের হাতে বন্দি সব ইসরায়েলিকে মুক্তি দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দেওয়া বিবৃতি অনুযায়ী, নেতানিয়াহু বলেছেন, গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যর্থতা তার পূর্ববর্তী অবস্থান থেকে স্পষ্ট সরে যাওয়া। যুক্তরাষ্ট্রের এমন অবস্থান বদল হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রচেষ্টার পাশাপাশি গাজায় বন্দি ১৩০ জনের বেশি ইসরায়েলিকে মুক্ত করানোর প্রচেষ্টাকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, মার্কিন অবস্থানের পরিবর্তনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিনিধিদল পাঠাবেন না।
গাজার সর্বদক্ষিণের শহর রাফায় আসন্ন অভিযান নিয়ে আলোচনা করতে যুক্তরাষ্ট্র সফরের কথা ছিল এই উচ্চপদস্থ ইসরায়েলি প্রতিনিধিদলের। রাফায় অভিযান নিয়ে ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। মার্কিন চাপ অপেক্ষা করে যদি ইসরায়েল রাফায় অভিযানে যায় তাহলে সামরিক সহায়তা বন্ধের মতো বিষয় সামনে এসে পড়েছে। তাই বেশ কয়েক দিন ধরে রাফায় ইসরায়েলি অভিযানের বিকল্প খুঁজছে বাইডেন প্রশাসন। সেই জন্য বেশ কাঠখড়ও পুড়িয়েছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। তবে ইসরায়েল বৈঠক স্থগিত করার কারণে সেই প্রচেষ্টায় নতুন করে বাধা দেখা দিল।
মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, ইসরায়েলের এমন সিদ্ধান্তে হতবাক বাইডেন প্রশাসন। তারা বিষয়টি ইসরায়েলিদের বাড়াবাড়ি বলে মনে করছেন।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ২৬ মার্চ ২০২৪