গতকাল নিরাপত্তা পরিষদে ব্রিটিশ দূত সুসান উডওয়ার্ড বলেন, ‘আমরা আত্মরক্ষার খাতিরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে মিলিত হয়ে সীমিত আকারে প্রয়োজনীয় ও যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নিয়েছি। এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস, কানাডা, বাহরাইন ও অস্ট্রেলিয়া অভিযানে অংশ না নিলেও সমর্থন দিয়েছে।’
নিরাপত্তা পরিষদে রুশ দূত ভাসিলি নেবেনজিয়া অভিযোগ করেন, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য ইয়েমেনে হামলা চালিয়েছে। এতে আঞ্চলিক উত্তেজনা বেড়েছে।
রুশ দূত আরো বলেন, বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা করাটা অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের হামলা প্রতিরোধ করা এক কথা, আর অন্য রাষ্ট্রে অন্যায্যভাবে ও নির্বিচারে হামলা চালানোটা আরেক কথা।
এদিকে লোহিত সাগরে চলাচলকারী জাহাজের ওপর ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের হামলা অব্যাহত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে আরও সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জো বাইডেন। গতকাল পেনসিলভানিয়ায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ হুঁশিয়ারি দেন।
বাইডেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘হুতিরা যদি এমন জঘন্য কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে থাকে, তাহলে আমরা নিশ্চিতভাবেই জবাব দেব।’
পেন্টাগনও দাবি করেছে, ইয়েমেনে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলার কারণে হুতিদের নতুন হামলা চালানোর সক্ষমতা কমেছে। মার্কিন সেনাবাহিনী বলেছে, ২৮টি জায়গার ৬০টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা করা হয়েছে।
প্রায় এক দশক ধরে ইয়েমেনের বেশির ভাগ জায়গায় নিয়ন্ত্রণ ধরে রেখেছে হুতিরা। তারা আঞ্চলিক জাহাজে হামলা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে। হুতিদের হামলার কারণে গত নভেম্বর থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত লোহিত সাগর থেকে দুই হাজারের বেশি জাহাজকে অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে হয়েছে।