ইমরানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে গোহারা হেরেছেন তাঁরা

ইমরানের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে গোহারা হেরেছেন তাঁরা

পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক লায়েক আলি খান বিবিসি উর্দুকে বলেন, খাইবার-পাখতুনখাওয়ায় যে দলগুলো ইমরানের সমালোচনা করেছিল, সেগুলোকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তাঁদের আসন এক বা দুটির মধ্যে সীমাবদ্ধ। অন্যদিকে, দলছুট খট্টক অপমানজনক পরাজয়ের সম্মুখীন হয়েছেন।

খট্টক নির্বাচনী প্রচারের সময়ই জনসাধারণের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়ার মুখোমুখি হয়েছিলেন। লোকজন খট্টকের সভা-সমাবেশে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়েছিল।

পাকিস্তানের জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আলি আকবর বিবিসি উর্দুকে বলেন, নির্বাচনী প্রচারের সময় খট্টকের নিজের ওপর এতটাই আস্থা ছিল যে, তিনি নিজেকে ভবিষ্যতের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রতিনিয়ত উপস্থাপন করছিলেন। নির্বাচনে গোহারা হারের পর তাঁকে জনগণের শক্তি ছাড়া অন্য কারও ওপর নির্ভর না করার বিষয়ে পুনর্বিবেচনা করতে হবে।

খট্টকের দলের আরেক বড় মুখ সাবেক মুখ্যমন্ত্রী মাহমুদ খান। তিনি দুটি নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। দুটিতেই হেরেছেন তিনি।

সাংবাদিক আলি আকবরের মতে, এই নির্বাচনে এটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে, জনগণ স্বাধীনভাবে পরিস্থিতি মূল্যায়ন করেছে। ফলাফলে প্রমাণিত হয়, এই প্রার্থীরা ২০১৩ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরানের জন্যই জয় পেয়েছিলেন, ব্যক্তিগত কৃতিত্বের কারণে নয়।

Scroll to Top