ইউটিউব আয়ের নীতিতে পরিবর্তন, কনটেন্ট নির্মাতাদের ওপর প্রভাব

ইউটিউব আয়ের নীতিতে পরিবর্তন, কনটেন্ট নির্মাতাদের ওপর প্রভাব

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব তার ‘মানিটাইজেশন’ বা ভিডিও থেকে নির্মাতাদের অর্থ আয়ের নীতিতে নতুন আপডেট এনেছে। এর ফলে অন্যদের কনটেন্ট বা আগে ব্যবহার করা ভিডিও পুনরায় ইউটিউবে ছেড়ে আর অর্থ আয় করা যাবে না। ইউটিউব থেকে অর্থ আয় করতে হলে অবশ্যই কনটেন্ট বা ভিডিওতে নতুন অথবা কিছুটা মৌলিকত্ব থাকতে হবে।

বিবিসি জানিয়েছে, এই নীতিমালা কার্যকর হয়েছে মঙ্গলবার (১৫ই জুলাই) থেকে। ‘অরিজিনাল কন্টেন্ট’ অর্থাৎ মৌলিকত্ব রয়েছে এমন কন্টেন্টকে উৎসাহ দিতে এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে ইউটিউব। নীতিমালা আপগ্রেড করার বিষয়ে ঘোষণার পর থেকেই যারা কন্টেন্ট তৈরি করেন তাদের মধ্যে মধ্যে এই নিয়ে ‘আগ্রহ’ এবং ‘উদ্বেগ’ দুই-ই ছিল।

ইউটিউব বলছে, আমরা আমাদের রিপিটিশাস কন্টেন্ট (পুনরাবৃত্তিমূলক কন্টেন্ট) বিষয়ক নীতিতে একটা ছোটখাটো আপডেট করছি যাতে রিপিটিশাস কন্টেন্ট বা মাস প্রোডিউসড কন্টেন্টকে শনাক্ত করা যায়। আমরা এই নীতির নাম রিপিটিশাস কন্টেন্ট থেকে পরিবর্তন করে ইনঅথেন্টিকেটেড কন্টেন্ট রাখছি। বিদ্যমান নীতির আওতায় যেখানে স্রষ্টাদের তাদের সৃজনশীলতা এবং অরিজিনাল কন্টেন্ট তৈরির জন্য পুরস্কৃত করা হয়, সেখানে ওই জাতীয় কন্টেন্ট মানিটাইজেশনের জন্য অযোগ্য।

পাশাপাশি জানানো হয়েছে ‘রিইউজড কন্টেন্ট’ অর্থাৎ রেডিমেড কোনো কন্টেন্টে কিছু নতুন যোগ করে ব্যবহারের ক্ষেত্রে সমস্যা নেই। ইউটিউব জানিয়েছে, আমাদের রিইউজড কন্টেন্ট যেখানে কমেন্ট্রি (ধারাভাষ্য বা মন্তব্য যোগ করা) , ক্লিপ, কম্পাইলেশন (কন্টেন্টের সংকলন) এবং ভিডিও রিক্রিয়েশন করা হয়, সেই সংক্রান্ত নীতিতে কোনো পরিবর্তন আনা হয়নি।

পাশাপাশি কোন কন্টেন্ট এআই ব্যবহার করে তৈরি, তা নির্দিষ্ট করার ক্ষেত্রেও উদ্যোগী হয়েছে ইউটিউব, যাতে তারা ভুয়া ভিডিও ছড়িয়ে পড়া বন্ধ করতে পারে। আর এখন কন্টেন্টে মৌলিকতার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

Scroll to Top