দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ১৪ দলীয় জোটকে আওয়ামী লীগ ৭ আসনের বেশি ছাড় দেবে না বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার ( ১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর ধানমন্ডিস্থ কার্যালয়ে এক সাংবাদিক ব্রিফিংয়ে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে আমি ১৪ দলের সমন্বয়ককে আমাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছি। ১৪ দল তাদের দলের প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করুক। সাতটি নির্বাচন এলাকায় আমরা নৌকার ছাড় দিতে পারবো। এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন শরিক দলের যত নেতা আছেন, তাদের সবার নির্বাচন করার সুযোগ আছে। তারা যার যার প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে। কারো ব্যাপারে কোন বাধা নেই। জাতীয় পার্টি তাদের নিজস্ব প্রতীকে নির্বাচন করবে।
তিনি বলেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, একদিকে সন্ত্রাস সহিংসতা বিএনপি ও তার দোসরদের, অন্যদিকে গুজব ভয়ঙ্করভাবে বিস্তৃত হচ্ছে। এক একটা বিষয় নিয়ে হঠাৎ করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, অংশগ্রহণমূলকভাবে নির্বাচন বলতে যা বুঝায় এটা এবারও হবে না। যা চরম হতাশার। আমরা টিআইবির কাছে জানতে চাই, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন বলতে কি বুঝায়? ২৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নিচ্ছে, বিএনপিসহ কয়েকটি দল নির্বাচন থেকে দূরে রয়েছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না, এর অর্থটা কি? টিআইবি বিএনপির শাখা সংগঠন। তারা একই সুরে কথা বলে।
বিএনপি নেতা মঈন খানের ভাগাভাগি নির্বাচন প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, কিসের ভাগাভাগি? বানরের পিঠা বাগ নাকি হচ্ছে। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যেকোনো মূল্যে এই নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন হিসেবে, একটা রেকর্ড আমরা দেখাতে চাই। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের প্রাণ, কাজেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে গণতান্ত্রিক করাই আমাদেরও দায়িত্ব আছে।
তিনি বলেন, আমাদের যেসব প্রার্থী নির্বাচনবিধি অনুযায়ী প্রার্থিতা হারিয়েছে, আমরা কারো ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনকে প্রভাবিত করার কোন চেষ্টা করি নি এবং করব না।
তিনি বলেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে এদের এসব অপতৎপরতা, নির্বাচন বিরোধী অপকর্ম, তাদের নাশকতার সহিংসতা আরো বাড়াবে। তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা খবর পেয়েছি তারা নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য অস্ত্রের মহড়া দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরা খবর পেয়েছি তারা অস্ত্র জোগাড় করছে। নির্বাচনে হামলা করার জন্য তারা অস্ত্র ব্যবহার করবে। এরকম খবর আমরা পেয়েছি।
তিনি আরও বলেন, ১৪ দলের শরীকদের আরো দল আছে। ১৪ দল তো এক দল আর দুই দল না। তাদেরকে তো বুঝাতে হবে। যে আমরা মানছি না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সায়েম খান, কার্যনির্বাহী সদস্য সাহাবুদ্দিন ফরাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।