জেরুজালেম, ১৮ মার্চ – আবারও ফিলিস্তিনের গাজাস্থ আল-শিফা হাসপাতালে হামালা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। হামলায় ট্যাংক ও ভারী গুলিবর্ষণে হতাহতের ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া হামলার পর হাসপাতালটির অস্ত্রোপচার ভবনেও আগুন লেগেছে বলে জানিয়েছেন ফিলিস্তিন কর্মকর্তারা। খবর আল-জাজিরার।
এদিকে, সোমবার (১৮ মার্চ) এক বিবৃতিতে ইসরায়েল জানিয়েছে, ওই হাসপাতালে দেশটির সেনারা ‘সুনির্দিষ্ট অভিযান’ চালিয়েছে। তাদের দাবি, হামাস যোদ্ধারা আল-শিফা হাসপাতালের ভেতরে অবস্থান নিয়ে পুনরায় সংগঠিত হয়েছে এবং সেখান থেকে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা পরিচালনা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে, গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় টেলিগ্রামে এক বার্তায় বলেছে, বাস্তুচ্যুত বেসামরিক নাগরিক, আহত রোগী এবং চিকিৎসাসেবী প্রায় ৩০ হাজার মানুষ ওই হাসপাতালে আটকা পড়েছেন। মন্ত্রণালয়ের দাবি, যারা হাসপাতালটি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছেন তারা স্নাইপার ও হেলিকপ্টার থেকে আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। এ ছাড়া রাত ২টায় শুরু হওয়া ইসরায়েলি হামলায় বেশ কয়েকজন নিহত এবং অনেকে আহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে মন্ত্রণালয়।
এর আগে এক্সে (সাবেক টুইটার) পোস্ট করা এক ভিডিওতে ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি জানান, অভিযান পরিচালনার সময় ইসরায়েলি বাহিনী ‘মানবিক প্রচেষ্টা’ চালাবে এবং খাদ্য ও পানি সরবরাহ করবে।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, অভিযান চলাকালীন রোগী ও চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিতদের হাসপাতাল ছাড়ায় কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না। যদিও আল-জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী লাউডস্পিকার ব্যবহার করে হাসপাতালে আশ্রয় নেওয়া শত শত মানুষকে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছে।
প্রসঙ্গগত, গত শুক্রবার (১৫ মার্চ) দুটি পৃথক জায়গায় ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে অন্তত ২৯ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। কুয়েত গোলচত্বরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় নিহত ২০ জনের মরদেহ আল শিফা হাসপাতালে আনা হয়েছে। ত্রাণপ্রত্যাশীদের ওপর গুলিবর্ষণের পর ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০ জন নিহত ও ১৫৫ জন আহত ব্যক্তিকে আল শিফা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। দুর্বল সক্ষমতার কারণে চিকিৎসকরা এ পরিস্থিতি মোকাবিলা অক্ষম।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ১৮ মার্চ ২০২৪