কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় আবারও ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির বিষয়ে কায়রোতে আলোচনা করছে একটি প্রতিনিধি দল। শুক্রবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করতে অনুমোদন দিলে রোববার প্রতিনিধিদল কায়রোতে পৌঁছায়। তবে হামাস এখনই কোনো প্রতিনিধি পাঠাবে না বলে জানিয়েছে।
সোমবার ১ এপ্রিল আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়েছে এটি। এছাড়াও এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, আলোচনার মধ্যেও গাজার বিভিন্ন জায়গায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় সাংবাদিকসহ বহু হতাহত হয়েছে।
ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতির বিষয়ে চলতি বছরের মার্চে আলোচনা হলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি। পবিত্র রমজান মাসের আগে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা মেনে নেয়নি ইসরায়েল। তাই কোনো চুক্তি ছাড়াই কায়রো ত্যাগ করেছিলো হামাস প্রতিনিধি দল।
জিম্মিদের মুক্তির দাবিতে তেল আবিবে ব্যাপক বিক্ষোভ হলে প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু নতুন করে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনা করার অনুমোদন দেন। কাতার ও মিশরের মধ্যস্থতায় এবার জর্ডান, ফ্রান্স ও মিশরের কূটনীতিক অংশ নিয়েছেন এই আলোচনায়।
এবার যুদ্ধবিরতির সম্ভাব্য চুক্তিতে ১৩০ জিম্মির মধ্যে ৪০ জনের মুক্তির বিনিময়ে গাজায় ৬ সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের কথা বলা হয়েছে। তবে ইসরায়েলের প্রতিনিধি দল কায়রোতে পৌঁছালেও এখনি আলোচনায় অংশ নেবে না হামাস প্রতিনিধিরা।
তারা বলছে, ইসরায়েলের মতামতের ওপরই তারা সিন্ধান্ত নিবেন।
হামাসের দাবি, যেকোন যুদ্ধবিরতির চুক্তি হতে হবে গাজায় ইসরায়েলি হামলা বন্ধ ও তাদের সেনাদের প্রত্যাহার করা। তবে ইসরায়েল এই দাবিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে বলছে, তাদের লক্ষ্য হলো হামাসকে নির্মূল করা।
যুদ্ধবিরতির আলোচনার মধ্যেই গাজার আশ্রয় কেন্দ্র ও হাসপাতালগুলোতে হামলা চালিয়েছে যাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। এমনকি এতে সাংবাদিকসহ হতাহত হয়েছে বহু ফিলিস্তিনি।