বিলম্বে হলেও অপরাধীরা শাস্তি পেয়েছেন। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো অপরাধী সম্পর্কে মাননীয় আদালতের প্রণিধানযোগ্য পর্যবেক্ষণ। আদালত তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেছেন, যে অপরাধীরা দেশের জনগণের আমানত, দেশের ব্যাংকিং ব্যবস্থা, দেশের অর্থনীতিকে খেলো মনে করেন, তাঁদের মৃত্যুদণ্ডের মতো সাজা হওয়া উচিত।
হল–মার্ক কেলেঙ্কারির হোতাদের বিচার আর্থিক খাতে দুর্নীতি কমাবে কি না, সেটা নির্ভর করছে সরকারের সার্বিক দৃষ্টিভঙ্গির ওপর। ব্যাংকিং খাতে যদি একের পর এক ঋণ–কেলেঙ্কারি ঘটতে থাকে, তাহলে দু–একটি ঘটনার বিচার পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাবে না। তদুপরি বিচারিক আদালতে হল–মার্ক কেলেঙ্কারির বিচার শেষ হয়েছে মাত্র। আপিল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত বলা যাবে না অপরাধীরা শাস্তি পেয়েছেন। অপরাধীদের দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হলে অবিলম্বে আপিল নিষ্পত্তি করতে হবে। সরকার রাজনৈতিক মামলার ক্ষেত্রে দ্রুত বিচার আইন ব্যবহার করলেও এ ক্ষেত্রে উদাসীন।
হল–মার্ক কেলেঙ্কারি বাংলাদেশের আর্থিক খাতে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলেও একমাত্র নয়। হল–মার্কের আগে ও পরে আরও অনেক ঋণ–কেলেঙ্কারি ঘটেছে। বিশেষ করে আবদুল হাই ওরফে বাচ্চু চেয়ারম্যান থাকতে বেসিক ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লোপাট হলেও তাঁর বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।