এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ
ভারতের আগরতলার কুঞ্জবনে বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে হামলা, ভাঙচুর ও জাতীয় পতাকা অবমাননার ঘটনা ঘটায় দুঃখ প্রকাশ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, আগরতলায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনের প্রাঙ্গণ ভাঙার ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। কোনও অবস্থাতেই কূটনৈতিক এবং কনস্যুলার সম্পত্তি লক্ষ্যবস্তু করা উচিত নয়।
এক বিবৃতিতে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে: কূটনৈতিক ও কনস্যুলার স্থাপনাগুলো কোনো পরিস্থিতিতেই আক্রমণের লক্ষ্য হওয়া উচিত নয়। ভারত সরকার, বাংলাদেশ হাইকমিশন ও দেশে তাদের ডেপুটি/সহকারী হাইকমিশনের নিরাপত্তা জোরদারে পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে।
সোমবার (০২ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর কথিত নির্যাতনের প্রতিবাদ সমাবেশ ডেকেছিল আগরতলার ওই সংগঠন। আগরতলার সার্কিট হাউস অবস্থিত গান্ধী মূর্তির সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়। পরে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে ছয়জনের একটি প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে গিয়ে স্মারকলিপি দেয়।
ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, সমাবেশের এক পর্যায়ে সমিতির বিক্ষুব্ধ সদস্যরা সহকারী হাইকমিশনের ভেতরে প্রবেশ করে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলেন এবং সেই পতাকা ছিঁড়ে ফেলেন। পরে ভবনের সামনে থাকা সাইনবোর্ড ভেঙে আগুন ধরিয়ে দেন।
ওই ঘটনার সময়কার কিছু ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, সেখানে দেখা যায় বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা নামিয়ে ফেলার পর তাতে আগুনও ধরিয়ে দেয়।
হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের এক নারী সদস্য স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেন, প্রতিনিয়ত বাংলাদেশে হিন্দুরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাছাড়া, বিনা কারণে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই প্রতিবাদে আজ বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে ভাঙচুর চালিয়েছেন তারা।
ঘটনার খবর পেয়ে ত্রিপুরা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে যান এবং বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন অফিস ঘুরে দেখেন। তারা হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তাদের দীর্ঘ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের নানা ইস্যুতে সরব ভারত। বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে দেশটিতে একের পর এক বিক্ষোভ হচ্ছে।