আওয়ামী লীগের তৃণমূলে বিভেদ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা

আওয়ামী লীগের তৃণমূলে বিভেদ বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা

‘স্বতন্ত্র কৌশলের’ প্রভাব

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে ও স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করা নেতাদের মধ্যে বিভেদ তৈরি হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত ও জয়ী দুই নেতাই এখন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থী নিয়ে মাঠে নামার ইঙ্গিত দিচ্ছেন।

প্রথম আলোর হিসাবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ২৬৮ জনকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল। দলের নেতা-সমর্থকেরা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন ২৬৯ জন। এর মধ্যে ৫৮ জন জয়ী হয়েছেন।

সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মোতালেবের প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক আ ম ম মিনহাজুর রহমান সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। জাতীয় নির্বাচনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দীন নদভীর পক্ষে থাকা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন চৌধুরীও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য তৎপর হয়েছেন।

একইভাবে বাঁশখালী ও পটিয়া উপজেলা পরিষদেও সংসদ নির্বাচনের প্রভাব পড়েছে। বাঁশখালীতে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হক সিকদার বর্তমান সংসদ সদস্য (স্বতন্ত্র) মুজিবুর রহমানের পক্ষে ছিলেন। তিনি উপজেলায় নির্বাচন করবেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর পক্ষে থাকা খোরশেদ আলমও উপজেলা চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করবেন বলে জানা গেছে।

পটিয়ায় সংসদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মোতাহেরুল ইসলামের পক্ষে থাকা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তিমির বরণ চৌধুরীসহ কয়েকজন উপজেলায় ভোট করার তৎপরতা চালাচ্ছেন। জাতীয় নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী সামশুল হক চৌধুরীর পক্ষে থাকা বর্তমান নারী ভাইস চেয়ারম্যান মাজেদা বেগমও চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হতে চান।

একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ভোটের সময় যাঁরা বিরোধিতা করেছেন, এখন তাঁরা এসে উপজেলা চেয়ারম্যান পদে সমর্থন পেতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।

Scroll to Top