অ্যানিমে স্টুডিওতে অগ্নিসংযোগ: অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড | চ্যানেল আই অনলাইন

অ্যানিমে স্টুডিওতে অগ্নিসংযোগ: অভিযুক্তের মৃত্যুদণ্ড | চ্যানেল আই অনলাইন
Fresh Add Mobile

২০১৯ সালে জাপানের কিয়োটোর একটি অ্যানিমেশন স্টুডিওতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অভিযুক্তকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। ওই ঘটনায় ৩৬ জন নিহত হয়েছিলেন। এছাড়াও আহত হয়েছিলেন আরও ৩২ জন। 

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনাটি সাম্প্রতিক দশকে জাপানের সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনার একটি। এই ঘটনায় দেশটির বেশ কয়েকজন তরুণ শিল্পী মারা যান।

BkashBkash

অভিযুক্ত ৪৫ বছর বয়সী শিনজি আওবাকে হামলার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু তার আইনজীবীরা “মানসিক অক্ষমতা” এর কারণ দেখিয়ে সাজার পরিমাণ কমাতে চেয়েছিলেন। যদিও বিচারকরা তা প্রত্যাখ্যান করেন।

কিয়োটো জেলা আদালতের প্রধান বিচারক মাসুদা বলেন, আমি নিশ্চিত যে, অপরাধের সময় আসামি মানসিকভাবে পাগল বা দুর্বল ছিলেন না। ৩৬ জনের মৃত্যু অত্যন্ত গুরুতর এবং দুঃখজনক। নিহতদের ভয় ও বেদনা বর্ণনাতীত। বিচারক মাসুদা বলেন, প্রাণে বেঁচে যাওয়া কেউ কেউ তাদের সহকর্মীদের আগুনে নিমজ্জিত হতে দেখেছেন এবং অনেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।

Reneta JuneReneta June

আগুন ছড়িয়ে পড়ায় স্টুডিওর ওপরের তলায় আটকে পড়ে অনেক অ্যানিমেশন কর্মী মারা যান। প্রসিকিউটররা আদালতের কাছে আসামীর মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানিয়ে বলেছিলেন, আওবা একজন লেখক। তার কাজ চুরি হয়েছে সন্দেহে তিনি স্টুডিওতে আগুন লাগান। ঘটনার দিন কাজের সময় স্টুডিওর নিচতলায় পেট্রোল ছিটিয়ে তাতে আগুন ধরিয়ে দেন আওবা।

গ্রেপ্তারের পর আওবা বলেছিলেন, তিনি বুঝতে পারেননি যে এত লোক ভবনে আটকা পড়বে। আওবা বলেন, আমি অনুভব করছি যে, আমি যা করেছি তা করা ছাড়া আমার আর কোন বিকল্প ছিল না। আমি অত্যন্ত দুঃখিত। ওই আগুনের ঘটনায় আওবা নিজেও অগ্নিদগ্ধ হন। তার শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে যায়। অপারেশন থেকে সুস্থ হওয়ার পরেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

Scroll to Top