অভিষেকে উজ্জ্বল তানজিদ, জেতালেন বাংলাদেশকে – DesheBideshe

অভিষেকে উজ্জ্বল তানজিদ, জেতালেন বাংলাদেশকে – DesheBideshe

চট্টগ্রাম, ০৩ মে – জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হলো ৮ উইকেটের প্রত্যাশিত সহজ জয়ে। আর এই ম্যাচ রাঙালেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তানজিদ হাসান তামিম। দেড় বছর পর জাতীয় দলের জার্সিতে বল হাতে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন হলো সাইফউদ্দিনের। বল হাতে যেমন ছিলেন মিতব্যয়ী, উইকেটও নিয়েছেন যৌথভাবে সর্বোচ্চ। তার সঙ্গে তাসকিন আহমেদ আগুন বোলিংয়ে জিম্বাবুয়েকে ধসিয়ে দিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত সফরকারীরা অষ্টম উইকেটের জুটিতে মান বাঁচায়। ৪১ রানে ৭ উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে ১২৪ রানের সম্মানজনক স্কোরে গুটিয়ে যায়। তিনটি করে উইকেট নেন সাইফউদ্দিন ও তাসকিন, যথাক্রমে রান দেন ১৫ ও ১৪।

এই লক্ষ্যে ছুটতে গিয়ে সহজ জয়ের পথ তৈরি করে বাংলাদেশ। কেবল দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি নামলে হার চোখ রাঙাচ্ছিল। অষ্টম ওভারে নামা বৃষ্টিতে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ৪৪ রান, যেখানে ডিএলএস মেথডে থাকতে হতো ৪৬ রান। শেষ পর্যন্ত সব শঙ্কা দূর করে আবার খেলা শুরু হয়। তারপর তানজিদ দেখান জাদুকরী ব্যাটিং। ৩৬ বলে করে ফেলেন হাফ সেঞ্চুরি। অভিষেকটা রাঙিয়ে বিশ্বকাপ দলে হয়তো জায়গা নিয়েই ফেললেন বাংলাদেশি ওপেনার। যদিও ভাগ্য সহায় ছিল তার। দুইবার জীবন পেয়ে ফিফটি করেছিলেন। দল জয়ের বন্দরে পৌঁছানোর আগেই হয়তো তানজিদকে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হতো। কিন্তু তৃতীয়বার তাকে জীবন দেয় জিম্বাবুয়ে। তাতে ২৮ বল হাতে রেখে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ১৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে লুক জংবেকে চার মেরে জয় নিশ্চিত করেন।

নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে ৫২ রানের জুটির পর তাওহীদ হৃদয়কে নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন তানজিদ। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি ছিল ৬৯ রানের। ৪৭ বলে ৬৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তানজিদ। ১৮ বলে ৩৩ রানে খেলছিলেন হৃদয়। ১৫.২ ওভারে ২ উইকেটে ১২৬ রান করে বাংলাদেশ।

অভিষেকে তানজিদের হাফ সেঞ্চুরি

চতুর্থ ওভারে চার বলের মধ্যে দুইবার জীবন পান তানজিদ হাসান তামিম। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে অভিষেক টি-টোয়েন্টিতে ৩৬ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের ওপেনার। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১১তম ওভারে সিকান্দার রাজার বলে সিঙ্গেল নিয়ে পঞ্চাশ ছোঁন তানজিদ। ১১ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২ উইকেটে ৭৯ রান।

ফিফটি করার পরের ওভারে তৃতীয়বার জীবন পান তানজিদ, তখন তার রান ৫৭। ১২তম ওভারে আবারও কিপার মাদান্দে তার ক্যাচ মিস করেন।

২১ রান করে শান্তর বিদায়

বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ২৪ বলে ২১ রান করে বাউন্ডারির সামনে ক্যাচ দেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে লুক জংবের শিকার তিনি। ৫৭ রানে বাংলাদেশ হারালো ২ উইকেট।

বৃষ্টি শেষে আবার মাঠে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে

আবার খেলা শুরু হয়েছে। প্রায় আধঘণ্টার বৃষ্টি বিরতির পর ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দফায় বৃষ্টি নামার পর হারের চোখ রাঙানি দেখছিল বাংলাদেশ। কারণ ডিএল মেথডে তারা পিছিয়ে ছিল ২ রানে।

আবার বৃষ্টির বাগড়া, খেলা না হলে জিতবে কে?

বাংলাদেশের ইনিংসের অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বল শেষে আবারও বৃষ্টি বাগড়া দিয়েছে। ১ উইকেটে ৪৪ রান তাদের। জিততে প্রয়োজন আরও ৮১ রান। তানজিদ হাসান তামিম ২৮ ও নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ রানে অপরাজিত খেলছেন। পাওয়ার প্লেতে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১ উইকেটে ৩৫ রান।

নিশ্চিতভাবে জয়ের দাবিদার বাংলাদেশ। কিন্তু চট্টগ্রামে ভারী বৃষ্টি নেমেছে। আর খেলা না হলে ডিএলএস মেথডে হার মানতে হবে বাংলাদেশকে। এই মুহূর্তে তাদের স্কোর থাকতে হতো ৪৬ রান, কিন্তু ২ রানে পিছিয়ে স্বাগতিকরা।

চার বলের মধ্যে দুইবার জীবন পেলেন তানজিদ

বৃষ্টি শেষে মাঠে নেমে তৃতীয় বলেই উইকেট পড়তে বসেছিল বাংলাদেশের। তানজিদ হাসান তামিমের উঁচু শট ধরতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয় বোলার ব্লেসিং মুজারাবানি ও কিপার ক্লাইভ মাদান্দের মধ্যে। বোলিং প্রান্ত থেকে ক্যাচ নিতে ছুটে যান মুজারাবানি। এগিয়ে আসেন মাদান্দেও, হয় মৃদু সংঘর্ষ। কিপারের গ্লাভস ফসকে বল বেরিয়ে যায়, তারপর মুজারাবানির বুকে লেগে তারও হাতে থাকেনি বল। একই ওভারে তানজিদ আবারও জীবন পান কভারে বেনেটের হাতে।

বৃষ্টি শেষে মাঠে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে

আধঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষার পর বৃষ্টি থেমেছে। মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে। কোনও কাটঅফ টাইমের প্রয়োজন পড়েনি।

বাংলাদেশের ইনিংসে বৃষ্টির বাগড়া

গরমে নাকাল গোটা বাংলাদেশ। তবে বৃহস্পতিবার থেকেই বিভিন্ন জেলায় স্বস্তির বৃষ্টি নামতে শুরু করেছে। চট্টগ্রামেও বৃষ্টির দেখা মিললো, তবে বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস সত্যি করে সোয়া আটটার কিছু পরে মেঘ ভেঙে নেমেছে বৃষ্টি। ৩ ওভার শেষে স্বাগতিকদের স্কোর ১ উইকেটে ১০ রান। জিততে তাদের করতে হবে ১২৫ রান। নাজমুল হোসেন শান্ত ৪ ও তানজিদ হাসান তামিম ৩ রানে অপরাজিত আছেন।

১ রানে বোল্ড লিটন

ইনিংসের দ্বিতীয় বলে একটি রান নেন লিটন দাস। পরের ওভারে ব্লেসিং মুজারাবানিকে খেলতেই পারলেন না। জিম্বাবুয়ের পেসারের দ্বিতীয় বলে বোল্ড হলেন বাংলাদেশি ব্যাটার। ৩ বলে মাত্র ১ রানে বিদায় নিলেন লিটন। মুজারাবানির ইনসুইঙ্গার তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক দিয়ে ঢুকে স্টাম্পে আঘাত করে।

১২৫ রান করতে হবে বাংলাদেশকে

বাংলাদেশের সামনে জিম্বাবুয়ে দিলো ১২৫ রানের লক্ষ্য। শক্তিমত্তায় এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের জন্য এই রান করা খুব বেশি কঠিন হওয়ার কথা নয়। কিন্তু ৪১ রানে সাত উইকেট হারানোর পর জিম্বাবুয়ের পাল্টা জবাব কিছুটা হলেও অবাক করার মতো ব্যাপার। ইনিংসের শেষ বলে ওয়েলিংটন মাসাকাদজা রান আউট হলে সফরকারীরা ১২৪ রানে অলআউট হয়েছে।

দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরা সাইফউদ্দিন তিনটি উইকেট নেন। সমান সংখ্যক উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ। সাইফউদ্দিন ইনিংসের শেষের আগের বলে মাসাকাদজাকে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ বানালেও পায়েল নো বলের কারণে চতুর্থ উইকেট নিতে ব্যর্থ হন। তারও আগে ক্লাইভ মাদান্দের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউর আবেদন করে আম্পায়ারের ইতিবাচক সাড়া পান, কিন্তু রিভিউ নিয়ে জীবন পান সফরকারী ব্যাটার। তাকে শেষ পর্যন্ত থামান তাসকিন। ইনিংস সেরা ৪৩ রান করেন মাদান্দে ৩৯ বল খেলে। দ্বিতীয় সেরা ৩৩ রান আসে মাসাকাদজার ব্যাটে। অষ্টম উইকেটে দুজনের ৭৫ রানের জুটি বাংলাদেশকে হতাশ করে।

সাইফউদ্দিনের তৃতীয় উইকেট

নিজের ও ইনিংসের শেষ ওভারে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন তৃতীয় উইকেট পেলেন। ১১৯ রানে নবম উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে। শেষ ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে (১) বোল্ড করেন তিনি।

মাদান্দেকে ফিফটি করতে দিলেন না তাসকিন

৪১ রানে সাত উইকেট হারানো জিম্বাবুয়ে অষ্টম উইকেটের জুটিতে প্রতিরোধের দৃষ্টান্ত তৈরি করেছিল। ওয়েলিংটন মাসাকাদজাকে নিয়ে ক্লাইভ মাদান্দে দলীয় স্কোর একশ ছাড়িয়ে নেন। অপেক্ষায় ছিলেন হাফ সেঞ্চুরি করার। কিন্তু তাসকিন আহমেদের শেষ ওভারে তাকে থামতে হয়। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে মাদান্দেকে ইয়র্কার দিয়ে বোল্ড করেন বাংলাদেশি বোলার। ৩৯ বলে ৪ ছয়ে ৪৩ রান করেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটার। ভাঙে ৬৫ বলে ৭৫ রানের জুটি। দলীয় ১১৬ রানে ৮ উইকেট হারালো জিম্বুাবুয়ে।

রিভিউ নিয়ে সাইফউদ্দিনকে হতাশ করলেন মাদান্দে

নিজের তৃতীয় ওভারে ক্লাইভ মাদান্দের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের এলবিডব্লিউর আবেদনে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। উদযাপনে মাতেন বাংলাদেশের বোলার। কিন্তু রিভিউ নেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটার। সিদ্ধান্ত বদলে যায়। ২৯ বলে জীবন পান মাদান্দে। তখন স্কোরবোর্ডে রান ৮০।

ক্যাচ মিস করলেন মাহমুদউল্লাহ

৫৯ রানে বাংলাদেশ জিম্বাবুয়ের আট নম্বর উইকেট পেতে পারতো। ওয়েলিংটন মাসাকাদজার ক্যাচ মিস করেন মাহমুদউল্লাহ। বোলিংয়ে ছিলেন রিশাদ হোসেন। এর আগে ৪১ রানে জিম্বাবুয়ে ৭ উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে।

৫ রানে ৬ উইকেট হারালো জিম্বাবুয়ে

পাওয়ার প্লে শেষ হওয়ার পর নিজের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়ে টানা দুই উইকেট নেন তাসকিন আহমেদ। শন উইলিয়ামসনকে বোল্ড করেন। রিশাদ হোসেনের ক্যাচ বানান রায়ান বার্লকে। অবশ্য হ্যাটট্রিক হয়নি বাংলাদেশের পেসারের। লুক জংবে ছিলেন স্ট্রাইকে। অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি তিনি। সাইফউদ্দিনের দ্বিতীয় শিকার হন জংবে, ৬ বলে ২ রান করে তাওহীদ হৃদয়কে ক্যাচ দেন। ৪১ রানে নেই জিম্বাবুয়ের ৭ উইকেট। ১ উইকেটে ৩৬ রান করেছিল তারা। ৫ রানে ৬ উইকেট হারালো দলটি।

তিন বলে ৩ উইকেট পেলো বাংলাদেশ

১ উইকেটে ৩৬ রান করা জিম্বাবুয়ের স্কোর ৪ উইকেটে ৩৬ রান। পঞ্চম ওভারের শেষ বল থেকে টানা তিন বলে উইকেট হারালো সফরকারীরা। সাইফউদ্দিনের বলে গাম্বি ক্যাচ দেন তাসকিন আহমেদকে। ষষ্ঠ ওভারের প্রথম দুই বলে আরও দুই ব্যাটার ক্রিজে ফেরেন। মাহমুদউল্লাহর থ্রোতে জাকের আলী ভেঙে দেন ব্রায়ান বেনেটের উইকেট। ১৫ বলে ৩ চারে ১৬ রান করেন তিনি। পরের বলে সিকান্দার রাজা ডাক মারেন। প্যাডল সুইপ করতে চেয়েছিলেন জিম্বাবুয়ের অধিনায়ক। কিন্তু বল গ্লাভস ছুঁয়ে ফার্স্ট স্লিপে লিটন দাসের হাতে ধরা পড়ে। ৬ ওভারে ৩৮ রানে চার উইকেট নেই জিম্বাবুয়ের।

দেড় বছর পর মাঠে ফিরেই সাইফউদ্দিনের আঘাত

দেড় বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। পঞ্চম ওভারে বল হাতে নেন তিনি। চতুর্থ বলে চার হজম করেন গাম্বির কাছে। পরের বলটি ওয়াইড লেন্থে ছিল। ভুল করে শট খেলেন জিম্বাবুয়ের ওপেনার। ১৪ বলে চারটি চারে ১৭ রান করেন গাম্বি।

বল হাতে নিয়েই মেহেদীর আঘাত

বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নবাগত জয়লর্ড গাম্বির কাছে প্রথম ওভারে দুটি চার হজম করেন শরিফুল ইসলাম। ওই ওভারে ৮ রান করে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় ওভারেই ভেঙে যায় উদ্বোধনী জুটি। দ্বিতীয় বলে ক্রেইগ আরভিন বোল্ড হন শেখ মেহেদী হাসানের স্পিনে। জিম্বাবুয়ের অভিজ্ঞ ওপেনার দুই বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।

টসে জিতে বোলিংয়ে বাংলাদেশ

পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটিতে টসে জিতে বাংলাদেশ বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই ম্যাচ দিয়ে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক হলো তানজিদ হাসান তামিমের। ১৫ ওয়ানডে খেললেও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে খেলেননি তিনি। তাকে ক্যাপ পরিয়ে দেন মাহমুদউল্লাহ।

চট্টগ্রামের আকাশ এই মুহূর্তে মেঘাচ্ছন্ন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, রাত ৮টার দিকে বৃষ্টি নামতে পারে।

বাংলাদেশ একাদশ: লিটন দাস, তানজিদ হাসান তামিম, নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), তাওহীদ হৃদয়, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী (উইকেটকিপার), মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মেহেদী হাসান, তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ: জয়লর্ড গাম্বি, ক্রেইগ আরভিন, ব্রায়ান বেনেট, শন উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা (অধিনায়ক), রায়ান বার্ল, ক্লাইভ মাদান্দে (উইকেটকিপার), লুক জংবে, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, ব্লেসিং মুজারাবানি, রিচার্ড এনগারাভা।

বিশ্বকাপের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ দিয়ে আজ (শুক্রবার) মাঠে নামছে বাংলাদেশ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে ম্যাচটি। ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে টি-স্পোর্টস।

একটা সময় বাংলাদেশ ও জিম্বাবুয়ে ম্যাচ মানে ছিল বাড়তি উত্তেজনা। সেই অবস্থার কিছুটা পরিবর্তন হয়েছে। সময়ের স্রোতে জিম্বাবুয়ে আগের জৌলুস হারিয়েছে। দলটি টানা তিনবারের মতো আইসিসি ইভেন্ট মিস করছে বাজে পারফরম্যান্সের কারণেই। সবমিলিয়ে আগের সেই উত্তেজনা না থাকলেও দুই দলের লড়াইয়ে কিছুটা রোমাঞ্চ থাকেই। আগামী কয়েকটা দিন দুই দলের সেই লড়াইয়ের ঝাঁজ উপভোগ করার সুযোগ ক্রিকেটপ্রেমীদের।

কাগজে-কলমে জিম্বাবুয়ে কঠিন কোনও প্রতিপক্ষ নয়। পরিসংখ্যানও সেটাই বলে। টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ২০ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে। তার মধ্যে বাংলাদেশ ১৩টি ও জিম্বাবুয়ে ৭টিতে জিতেছে। সর্বশেষ ২০২২ সালে ৩০ অক্টোবর ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও জিম্বাবুয়েকে ৩ রানে হারায় তারা। তবে জিম্বাবুয়ের জন্য অনুপ্রেরণা হতে পারে সর্বশেষ সিরিজ। বাংলাদেশের বিপক্ষে সবশেষ সিরিজে শেষ হাসি হেসেছে সিকান্দার রাজার দল। ২০২২ সালে ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে হারিয়ে সিরিজ জিতেছিল তারা।

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন
আইএ/ ০৩ মে ২০২৪

সম্পুর্ন খবরটি পড়ার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করুন ::অভিষেকে উজ্জ্বল তানজিদ, জেতালেন বাংলাদেশকে first appeared on DesheBideshe.

Scroll to Top