মাহফুজ আনাম বলেন, প্রবাসীরা প্রতি বছর ২২ বিলিয়ন ডলারের মতো দেশে পাঠান। এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম বড় শক্তি। নিজের টাকা খরচ করে বিদেশে গিয়ে কঠোর পরিশ্রম করে তাঁরা দেশে যে টাকা পাঠান, সেটিই দেশপ্রেমের বড় উদাহরণ। ডলার রিজার্ভের এই সংকটময় সময়ে দেশের সবাই তাঁদের দিকে তাকিয়ে আছেন।
অভিবাসীরা শুধু অর্থ পাঠানোর যন্ত্র নয়—মন্তব্য করে মাহফুজ আনাম বলেন, মানবিক দৃষ্টিতে এই খাতকে দেখতে হবে। অভিবাসন খাতে গণমাধ্যমের আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। এই খাতের সমস্যাগুলোর গভীরে যেতে হবে। কেন বাংলাদেশ থেকে বিদেশে যাওয়ার খরচ নেপাল বা ভারতের চেয়ে এত বেশি? কেন আরও বেশি দক্ষ কর্মী পাঠাতে পারছি না? এই খাতে সরকারের বিনিয়োগ কত? প্রবাসীদের কল্যাণের টাকা কোথায়–কীভাবে খরচ হচ্ছে? কেন সরকার অভিবাসন খাতের সিন্ডিকেট ভাঙতে পারছে না? এসব নিয়ে গণমাধ্যমের গভীরে গিয়ে কাজ করা উচিত।
মাহফুজ আনাম বলেন, ‘সাংবাদিকতার মাধ্যমে এসব বিষয়ে আমরা সরকারকে সহায়তা করতে চাই। বিশেষ করে অভিবাসন খরচ কমাতে পারলে, অদক্ষ কর্মীকে দক্ষ করে বিদেশ পাঠাতে পারলে আরও বেশি প্রবাসী আয় আসবে। পাশাপাশি যাঁরা বিদেশ থেকে ফেরত আসছেন, তাঁদের দক্ষতাকে কাজে লাগানো উচিত।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের গবেষণা ও নীতি অনুবিভাগের প্রধান ও যুগ্ম সচিব আয়েশা হক বলেন, অভিবাসন খাতে গণমাধ্যমের ভূমিকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। মন্ত্রণালয় প্রবাসীদের নিয়ে গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদনগুলো গুরুত্ব দিয়ে দেখে সমাধানের চেষ্টা করে।