নির্ধারিত অফিস সময়ের পরও বসদের কল কিংবা মেসেজের যন্ত্রণা সহ্য করতে হচ্ছে কর্মীদের। নিজেদের ব্যক্তিগত সময়ের কথা বিবেচনা করে নতুন আইন করছে অস্ট্রেলিয়া। দেশটিতে অফিস সময়ের পর বসের কল কিংবা মেসেজ উপেক্ষা করার আইন পাস করা হচ্ছে।
শুক্রবার ৯ ফেব্রুয়ারি সিএনএন’র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মোবাইল কিংবা ব্যক্তিগত ডিভাইসের ‘সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার অধিকার’ হলো একটি সংসদীয় বিলের অধীনে ফেডারেল সরকার কর্তৃক প্রস্তাবিত শিল্প সম্পর্ক আইনের পরিবর্তনের একটি অংশ।
এতে বলা হয়, আইনটি শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা করবে এবং কর্মজীবনের ভারসাম্য পুনরুদ্ধার করতে সহায়তা করবে।
বুধবার ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির কর্মসংস্থান মন্ত্রী টনি বার্ক এক বিবৃতিতে বলেন, বেশিরভাগ সিনেটর এখন এই আইনের প্রতি সমর্থন জানান। বলেন, আইনটি শ্রমিকদের বস থেকে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অযৌক্তিক কল এবং মেসেজ উপেক্ষা করার অনুমতি দেবে।
প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবেনিজ বলেন, আমরা বলছি, যাকে ২৪ ঘণ্টার জন্য অর্থ প্রদান করা হচ্ছে না। তকে অফিসের নির্ধারিত সময়ের পরে কল কিংবা ম্যাসেজের জন্য কোনো প্রকার শাস্তি দেওয়া উচিত নয়। কিংবা তিনি যদি অনলাইনে না থাকেন তার জন্যও শাস্তি দেওয়া যাবে না।
দেশটির কিছু রাজনীতিবিদ, নিয়োগকর্তা এবং কর্পোরেট নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এমনটি করা হলে প্রতিযোগিতামূলক কাজের ক্ষেত্রে প্রভাব পড়বে। এছাড়াও তাদের দাবি এটি অত্যধিক সীমাবদ্ধতা এবং নমনীয় কাজের দিকে অগ্রসর হওয়া।
গত বছর এই আইনটি প্রথম প্রস্তাবকরী দল বামপন্থী গ্রিনস নেতা অ্যাডাম ব্যান্ড টুইটারে বলেন, এটি তাদের দলের জন্য একটি বড় জয়। এই বিলটিকে সমর্থন করার জন্য শ্রমীক, ছোট ছোট দল এবং স্বতন্ত্রদের মাঝে একটি চুক্তি হয়েছে।
তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ানরা প্রতি বছর গড়ে ছয় সপ্তাহ অবৈতনিক ওভারটাইম কাজ করছে। তিনি বলেন, অফিসের সময় শেষে ‘বাকি সময়টা তোমার। তোমার বসের নয়।’