সংস্কার প্রসঙ্গে পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা বলেন, রাজনীতিবিদেরা দেশ শাসন করতে চান, সেটা বৈধ। রাজনীতিকদের হাতে ক্ষমতা দিতেই হবে। তাঁরা ভালো হবেন, এমনটাই আশা-চিন্তা করে তাঁদের কাছেই ক্ষমতা দিতে হবে। যে সংস্কার করতে চাওয়া হচ্ছে, এটা অনন্তকাল ধরে চলতে পারে না। সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া।
কর্মশালায় প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্টার ফর পলিসি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট রিসার্চের (সিপিডিআর) নির্বাহী পরিচালক আবুল হোসেন। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারে অর্থনৈতিক দুর্বৃত্তায়ন থেকে উত্তরণে এবং জনপ্রশাসনে সৎ, দক্ষ ও যোগ্য লোককে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয় পর্যালোচনা করতে একটি করে কমিটি করেছে। এ ছাড়া বিদ্যমান পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সুপারিশ দিতে আরও ১০টি সংস্কার কমিশন গঠন করেছে। এসব কমিটির ও কমিশনের প্রতিবেদন, সুপারিশ ও দিকনির্দেশনা নির্বাচিত সরকারকে রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগকে সহজ করবে।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সাজ্জাদ রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অনৈক্য দেখা দিয়েছে। এ ছাড়া দলগুলো মানুষের চেয়ে নিজেদের চিন্তা বেশি করছে, যা সরকার ও মানুষের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। আশা করছি, দলগুলো অনৈক্য দূর করবে। আর নির্বাচনের দিকে যেতেই হবে। সরকারকেও সময় দিতে হবে। কিছু সংস্কার ছাড়া এ সরকার চলে গেলে অরাজকতা তৈরি হবে।’