অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ডের প্যাথলজি ল্যাব | চ্যানেল আই অনলাইন

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ডের প্যাথলজি ল্যাব | চ্যানেল আই অনলাইন

এই খবরটি পডকাস্টে শুনুনঃ

অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগ। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে না। এতে হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম এক প্রকার স্থবির হয়ে পড়েছে। চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে রোগীদের।

তবে দালাল মারফত আশপাশের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর ব্যবসা জমে উঠেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বুধবার সকাল থেকে থেকেই প্যাথলজিক্যাল ল্যাবের সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ হয়ে যায়। সকাল দশটার দিকে নমুনা সংগ্রহ বন্ধ করে দেওয়া হয়। মূলতো এই ল্যাবে চারটি বায়োকেমিস্টি অটো এনালাইজার, দুটি হেমাটোলজি অটো এ্যানালাইজার এবং একটি হরমন অটো এ্যানালাইজার যন্ত্র সক্রিয় রয়েছে। এসব পরীক্ষা যন্ত্রগুলো সয়ংক্রিয়ভাবে পরিচালিত এবং তাপমাত্রা সংবেদনশীল। কিন্তু ল্যাবের দুটি তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র (এসি) বিকল হয়ে পড়ায় ল্যাবের স্বাভাবিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে পড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, হাসপাতালের এই ল্যাবে ২৪ ঘন্টা রোগীদের প্রয়োজনীয় সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। প্রতিদিন গড়ে সাত থেকে আটশ পরীক্ষা হয়ে থাকে। কিন্তু বুধবার সকাল থেকে সব ধরনের পরীক্ষা বন্ধ হয়ে পড়ে। এতে অস্ত্রপচারের রোগী, জরুরী রোগীসহ সব ধরনের রোগীদের চিকিৎসা কার্যক্রম ব্যহত হয়ে পড়েছে। ল্যাবের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু কবে শুরু সেটি এক প্রকার অনিশ্চিত।

তিনি বলেন, এমনিতেই ল্যাব ও হাসপাতালকেন্দ্রীক এক শ্রেণীর দালাল স্বাভাবিক সময়ে রোগী ও স্বজনদের নানাভাবে প্রভাবিত করে বাইরের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকে নিয়ে যায়। ল্যাব কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় এসব দালালদের দৌরত্ব ও তৎপরতা অস্বাভাবিক বেড়েছে। রোগীদের বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা ডায়াগনস্টিকে পাঠানোর পাশাপাশি রোগীদেরও ভাগিয়ে বেসরকারি ক্লিনিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে। এতে সাধারণ দরিদ্র শেণীর রোগীরা মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়ছেন।

এ প্রসঙ্গে স্যার সলিমুল্লা মেডিকেল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতালের প্যাথলোজি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. তৈয়বা খাতুন বলেন, ল্যাবের কার্যক্রম বন্ধ হয়েছে এসি (তাপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র) নষ্ট হওয়ার কারনে। এই ল্যাবে পাঁচ টন ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি এসি রয়েছে। কয়েকদিন ধরে একটি এসি ঠিকমতো ঠান্ডা হচ্ছিল না। বিষয়টি এসি সরবরাহকারীদের জানানো হয়। তবে সেখান থেকে লোক আসতে দেরি করায় আজ দুটো এসি একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। এসি সংশ্লিষ্টরা এসে একটি এসি ঠিক করেছে। অন্যটি ঠিক করতে চার পাঁচদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছে।

অধ্যাপক তৈয়বা বলেন, যেটি ঠিক আছে সেটি ২৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় চালাতে বলা হয়েছে। কিন্তু আমাদের সব পরীক্ষা যন্ত্রগুলো সয়ংক্রিয় হওয়ায় এই তাপমাত্রায় স্বাভাবিক কার্যক্রম চালাতে পারে না। এমনকি এই তাপমাত্রায় যন্ত্রগুলোর পরীক্ষার ফলাফল সঠিকভাবে নির্ণয় করতে পারে ন। তাই ল্যাব বন্ধ রাখতে হয়েছে। কিন্তু আমাদের লোকবল যথারীতি উপস্থিত রয়েছেন।

Scroll to Top